রাতভর হাতি ধরতে নাজেহাল বনদপ্তর। অবশেষে জারি করতে হয়েছে ১৪৪ ধারা। হাতির যাতায়াতের পথ পরিষ্কার রাখতে ৩১নং জাতীয় সড়কের গোশালা মোড় এলাকায় বন্ধ করা হয় যান চলাচল।
আজ সোমবার (১৫ নভেম্বর) ভোররাত থেকে ভারতের জলপাইগুড়ির শহরের এসি কলেজ-সংলগ্ন এলাকায় দুটি হাতি চলে আসে। হাতি দেখতে ভিড় করতে শুরু করেন প্রচুর মানুষ। দুর্ঘটনা এড়াতে প্রশাসন থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। সারাদিন হাতি দুটিকে জঙ্গলে ফেরাতে হিমশিম খেতে হয় বনদপ্তরকে। অবশেষে জলপাইগুড়ির করলা নদীপথে হাতি দুটিকে গাড়ি করে ৩১নং জাতীয় সড়কের আন্ডারপাস দিয়ে ডেঙ্গুয়াঝাড় চা বাগানের দিকে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে বনদপ্তর।
এর আগে রোববার বিকেল ৫টা নাগাদ জলপাইগুড়ির কবরস্থান থেকে হাতি তাড়ানোর কাজ শুরু করে বনকর্মীরা। তাড়া খেয়ে জলপাইগুড়ির কবরস্থান থেকে হাতি দুটি বেরিয়ে জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকে যায়। এরপর ফের তাড়া খেয়ে কবরস্থানের দিকে ফিরে যায়। বাজি, পটকা ফাটালে সেখান থেকে হাতি দুটো আবার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দিকে চলে আসে। ফের হাতি দুটিকে নদীপথে জাতীয় সড়কে তোলার চেষ্টা চালাতে শুরু করে বনদপ্তর।
অন্যদিকে, হাতি ফেরানোর সময় যাতে ভিড় করা মানুষের তাড়া খেয়ে হাতি ক্ষিপ্ত হয়ে প্রাণহানি না করে তাই জাতীয় সড়কে মাইকিং শুরু করে পুলিশ। একইসঙ্গে জলপাইগুড়ি ৩১নং জাতীয় সড়কের গোশালা মোড় এলাকায় যান চলাচল বন্ধ করে দিয়ে বিকল্প পথে গাড়ি চলাচলের নির্দেশনা দেয় পুলিশ। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, হাতি দুটি এখনও বনে ফেরত পাঠাতে পারেনি বনদপ্তরের কর্মীরা।
বিএ/