দেশের বাজারে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ভোজ্যতেলের দাম। বাজার থেকে যেন সয়াবিন তেল উধাও হয়ে যাচ্ছে! রাজধানীর কোনো কোনো বাজারে খোলা সয়াবিন তেল নেই বললেই চলে। বোতলজাত সয়াবিন তেল পাওয়া গেলেও তা সরকার নির্ধারিত দামে বিক্রি হচ্ছে ন।
কোনোভাবেই নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না তেলের বাজার। তেলের এই লাগামহীন দাম বৃদ্ধির কারণে অনেকটাই অসহায় হয়ে পড়েছেন মধ্যবিত্ত এবং নিম্ন মধ্যবিত্তরা। এমন পরিস্থিতিতে সয়াবিন তেলের সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে বলেছেন হাইকোর্ট।
রোববার (১৩ মার্চ) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ বলেন, সয়াবিন তেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যারা কুক্ষিগত করে রেখে জনগণকে ভোগান্তিতে ফেলে সেই সিন্ডিকেট ভেঙে দিতে হবে।
একইসঙ্গে সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে দায়ের করা রিটের আদেশের জন্য সোমবার (১৪ মার্চ) দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এর আগে গত রোববার (৬ মার্চ) সয়াবিন তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে মনিটরিং সেল গঠন এবং নীতিমালা তৈরি করতে ৩ আইনজীবী হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
রিটে বাণিজ্য সচিব, ভোক্তা অধিকার কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের রিটে বিবাদী করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোজ্যতেল বিপণণকারী কোম্পানিগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার অ্যাসোসিয়েশন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়ে সয়াবিন তেলের দাম লিটারে আরও ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করে। তাদের প্রস্তাবে এক লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেলের নতুন দাম ১৮০ টাকা নির্ধারণের কথা বলা হয়েছে। আর ৫ লিটার সয়াবিন তেলের দাম ৮৭০ টাকা করার কথা বলা হয়েছে। নতুন প্রস্তাবে খোলা সয়াবিন ও পামঅয়েলের দামও বাড়ানোর কথা বলা হয়।
নতুন এই দর ১ মার্চ থেকে কার্যকর হবে বলে প্রস্তাবে বলা হয়। কিন্তু গত ২ মার্চ সচিবালয়ে নিত্যপণ্যের মজুদ ও সরবরাহ পরিস্থিতি নিয়ে আয়োজিত এক আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠক শেষে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি সাংবাদিকদের বলেন, বিপণনকারী কোম্পানিগুলো সয়াবিন তেলের দাম আরও ১২ টাকা বাড়ানোর প্রস্তাব করেছিল। কিন্তু আমরা বলেছি, সামনে রমজান মাস। তাই এখন সয়াবিন তেলের দাম বাড়ানো যাবে না। কিন্তু বাণিজ্যমন্ত্রীর দাম না বাড়ানোর এ নির্দেশের পর ওইদিন বিকালেই সয়াবিন ও পামঅয়েলের দাম অটোমেটিকভাবে আরেক দফা বেড়ে যায়।
বিএ/