ইরানের পরমাণু কর্মসূচি নিয়ে সম্ভাব্য যে কোনো আলোচনায় সৌদি আরবকে অন্তর্ভুক্ত করার আহ্বান সরাসরি নাকচ করে দিয়েছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রটি। মধ্যপ্রাচ্যের শিয়া সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশটির সঙ্গে যা কিছু ঘটছে, সৌদি আরবের সঙ্গে সে বিষয়ে পুরোপুরো আলোচনা করে নেয়ার দাবি জানিয়েছেন উপসাগরীয় দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান।
কিন্তু ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সাঈদ খাতিব জাদেহ সেই প্রস্তাব সোমবার সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছেন। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, আলোচনার জন্য সবাই উন্মুক্ত। তবে নিজেদের স্তরকে অতিক্রম না করে আলোচনা না করা অবশ্যই ভালো। এতে তারা বিব্রত হওয়া থেকে রক্ষা পাবেন। সৌদির অবস্থান নিয়ে বারবার করা প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মাঝারি-সারির একটি দেশের এ ধরনের আলোচনায় আসা ফলদায়ক হবে না।
এ ছাড়া উগ্রবাদী মতাদর্শে সৌদির অর্থায়নেরও অভিযোগ করেছেন খাতিবজাদেহ। তিনি বলেন, এই অঞ্চল ও মুসলিমবিশ্বে বহু সমস্যার জন্য তারা দায়বদ্ধ। সে তুলনায় তারা ভালো আচরণই পেয়েছেন।
২০১৫ সালে ছয় বিশ্বশক্তির সঙ্গে ইরানের চুক্তিতে ফিরে যাওয়ার আভাস দিয়েছেন মার্কিন নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। ২০১৮ সাল থেকে ওই চুক্তি লাইফসাপোর্টে আছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে চুক্তি থেকে সরে এসে ইরানের অর্থনীতি পঙ্গু করে দিতে একের পর এক অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।
২০১৯ সাল থেকে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি থেকে ধীরে ধীরে সরে এসেছে ইরান। চুক্তিতে ইরানকে যে সুবিধা দেয়ার কথা ছিল, তাতে ইউরোপের নিষ্ক্রীয়তার অভিযোগও করেন তিনি।
জেএন