1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
সেই জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৫, ০৮:৪৯ অপরাহ্ন

সেই জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ

  • প্রকাশের সময় : বৃস্পতিবার, ১১ আগস্ট, ২০২২

২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে দলের সমাবেশে বর্বরোচিত গ্রেনেড হামলার ঘটনায় আনা মামলায় বিনা অপরাধে জেলা খাটা মো. জালাল ওরফে জজ মিয়াকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

নিরিহ জজ মিয়াকে বিনা অপরাধে চার বছর কারাভোগ করতে হয়েছিল। এতে তার মৌলিক অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে উল্লেখ করে তাকে ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে এই নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

স্বরাষ্ট্রসচিব, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ ১১ ব্যক্তি বরাবর এই আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। জজ মিয়ার পক্ষে আজ রেজিস্ট্রি ডাকযোগে সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ হুমায়ন কবির ও মোহাম্মদ কাউছার এই আইনি নোটিশ পাঠান।

আইনি নোটিশ যাদের কাছে পাঠানো হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছেন বিএনপি জামায়াত জোট আমলের তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবর, পুলিশের তৎকালীন মহাপরিদর্শক খোদা বকশ চৌধুরী, সহকারী পুলিশ সুপার আবদুর রশীদ, মুন্সী আতিকুর রহমান, সাবেক বিশেষ পুলিশ সুপার মো. রুহুল আমিনসহ ১১ জন।

মিথ্যা স্বীকারোক্তি নিয়ে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় ফাঁসানোর ঘটনায় ১০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ চেয়ে এই নোটিশ দিয়েছেন সেই জজ মিয়া। ১৫ দিনের সময় দিয়ে নোটিশে বলা হয়েছে, এ সময়ের মধ্যে নোটিশ অনুযায়ী ব্যবস্থা না নিলে আইনগত পদক্ষেপ নেয়া হবে।

নোটিশে বলা হয়, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট ঢাকার বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে তখনকার বিরোধীদলীয় নেত্রী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সমাবেশে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। এতে দলের কেন্দ্রীয় নেত্রী আইভি রহমানসহ নেতা-কর্মীসহ ২৪ জন নিহত হন। নেতা-কর্মী, সাংবাদিক, সাধারণ মানুষ কয়েকশো আহত হন। নজিরবিহীন বর্বরোচিত ভয়াবহ ওই মামলায় আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও আহত হন। তাঁর কানের মারাত্মক ক্ষতি হয়। ওই ঘটনায় পঙ্গুত্ব এবং আঘাতের ক্ষত এখনো বয়ে বেড়াচ্ছেন অনেকে।

এ ঘটনায় ২০০৫ সালের ৯ জুন নোয়াখালীর সেনবাগ থেকে ধরে আনা হয় জজ মিয়া নামের নিরীহ যুবককে। জজ মিয়াকে ১৭ দিন রিমান্ডে রেখে, ভয়ভীতি ও প্রলোভন দেখিয়ে তার কাছ থেকে একটি সাজানো জবানবন্দি আদায় করে সিআইডি। ২০০৫ সালের ২৬ জুন আদালতে দেয়া ওই কথিত স্বীকারোক্তিতে জজ মিয়া বলেছিলেন, ‘পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে বড় ভাইদের নির্দেশে তিনি অন্যদের সঙ্গে গ্রেনেড হামলায় অংশ নেন। ওই বড় ভাইয়েরা হচ্ছেন শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইন, জয়, মোল্লা মাসুদ ও মুকুল।’

পরে ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকার এসে নতুন করে এই মামলার তদন্তের উদ্যোগ নেয়। তদন্ত শেষে ২০০৮ সালের ১১ জুন এ-সংক্রান্ত মামলা দুটির অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। অব্যাহতি দেয়া হয় জোট সরকারের আমলে গ্রেফতার হওয়া জজ মিয়াকে। বিনা অপরাধে কয়েকবছর কারাভোগ করতে হয়েছিল তাকে। ইতোমধ্যে ওই মামলায় বিচারিক আদালতে রায় হয়েছে। বিচার চলাকালে জজ মিয়াকে ফাঁসানোর গল্প সাক্ষ্য প্রমাণে উঠে এসেছে।

২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় বিচারিক আদালতের রায়ে মৃত্যুদন্ডে দন্ডিত আসামিদের ডেথ রেফারেন্স ও আসামিপক্ষে আনা আপিল শুনানি শিগগিরই শুরু হচ্ছে হাইকোর্টে। আজ এ কথা জানান এটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিন।
বিএ/

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST