মিয়ানমারের ক্ষমতাচ্যুত নেতা অং সান সু চির বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতি ও আইন-বহির্ভূত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনেছে দেশটির সামরিক সরকার।
মঙ্গলবার (১৬ নভেম্বর) সু চির পাশাপাশি দেশটির ক্ষমতাচ্যুত রাষ্ট্রপতি এবং রাজধানীর মেয়রসহ মোট ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।
ফেব্রুয়ারিতে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে সু চিকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে।
সু চির আইনজীবী অভিযোগ করেছেন, মামলা নিয়ে গৃহবন্দি নেতার সাথে প্রকাশ্যে কথা বলায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে দেশটির সামরিক জান্তা।
এদিকে জাতিসংঘের কর্মকর্তারা সু চির সঙ্গে দেখা করার দাবি জানিয়ে আসছিলেন, কিন্তু তাদের দেশটিতে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়নি।
জাতিসংঘ বলছে, সামরিক অভ্যুত্থান মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে, কিন্তু তাদের মিয়ানমারে তদন্তের সুযোগ দেওয়া হয়নি।
সেনা অভ্যুত্থানকে বৈধতা দিয়ে দেশটির সামরিক জান্তা দাবি করেছে, গত নভেম্বরে হওয়া সাধারণ নির্বাচনে ভোট কারচুপি হয়েছে। ওই নির্বাচনে সু চির দল নিরঙ্কুশ বিজয় পেয়েছিল।
নিরপেক্ষ নির্বাচন পর্যবেক্ষকেরা বলেছেন, অধিকাংশ জায়গায় নির্বাচন অবাধ ও স্বচ্ছভাবে হয়েছে। সু চির বিরুদ্ধে অভিযোগ রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে আনা হয়েছে বলে ব্যাপকভাবে সমালোচিত হচ্ছে।
মঙ্গলবার সাবেক প্রেসিডেন্ট উইন মিন্ট এবং নেপিদ’র সাবেক মেয়র মাইয়ো অংসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়।
মিজ সুচিকে আটকের পর থেকে অফিসিয়াল সিক্রেসি অ্যাক্ট, দুর্নীতি এবং অবৈধ ওয়াকি-টকি রাখাসহ তার বিরুদ্ধে নানা ধরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাকে আদালতে তোলা হয়েছে, কিন্তু সেই সংক্ষিপ্ত উপস্থিতির সময়ও তাকে দেখা যায়নি কিংবা তিনি কী বলেছেন তা জানানো হয়নি।
বিএ/