নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার খালিশপুর বিলে কামরুল ইসলাম (৩০) হত্যা মামলার প্রধান আসামী এনামুল হক (২৭) কে আটক করেছে পুলিশ। পুলিশের আটক আসামী বাগমারা উপজেলার মুরারীপাড়া গ্রামের রহিদুলের ছেলে। গত ৯ মে তাকে সিরাজগঞ্জ জেলার সদর থানা পুলিশের সহযোগিতায় সিরাজগঞ্জ সদর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাকে রাজশাহীর জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-২ এ হাজির করা হলে আসামী হত্যাকান্ডের দায় স্বীকার করে ফৌজদারী কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করে। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর
ইফতে খায়ের আলম স্বাক্ষরিত গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ১৭ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ৯টার দিকে বাগমারা থানাধীন খালিশপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে আধা কিলোমিটার পশ্চিমে খালিশপুর বিলের ধান ক্ষেতে চয়েন উদ্দিন মন্ডল তার ছেলে কামরুল ইসলামের জবাই করা রক্তাক্ত মৃতদেহ দেখতে পান। পরে তিনি বাদী হয়ে বাগমারা থানায় একটি এজাহার দায়ের করলে বাগমারা থানার মামলা নং-১১ তারিখ ১৭-৪-২০১৯ ধারা ৩০২/২০১/৩৪ দঃ বিঃ রুজু হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গুরুত্ব দিয়ে বাগমারা থানা পুলিশ মামলাটির তদন্ত কার্যক্রম শুরু করে। তদন্তের সূত্র ধরে বাগমারা থানার পুলিশ বিভিন্ন সময়ে বাগমারা
থানাধীন মুরারীপাড়া এলাকা হতে মাহবুবুর রহমান, আঃ মজিদ @ রনজু, মাহবুব, মোঃ রহিদুল ইসলাম ও নাজমুল হকদের গ্রেফতার করে এবং আদালতে সোপর্দ করে। পরবর্তীতে তদন্তের সূত্র ধরে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে প্রধান আসামি এনামুলকে গ্রেফতার করা হয়। স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে আসামি এনামুল হক জানান বাগমারা থানাধীন মুরারীপাড়া এলাকায় সুদের ব্যবসাকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। আসামি এনামুল হক মৃত কামরুল ইসলাম এর নিকট থেকে সুদের বিনিময়ে এক সময় টাকা ধার নেয়। সময়মত টাকা ফেরত না দিতে পারায় তাদের মাঝে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এছাড়া মৃত কামরুল এর সাথে সুদের ব্যবসা নিয়ে তার চাচাতো ভাই গ্রেফতারকৃত মাহবুবুর রহমান
এর স্বার্থ সংশ্লিষ্ট দ্বন্দ্ব ছিল। এ বিষয়টিকে কাজে লাগিয়ে মাহবুবুর রহমান কামরুলকে হত্যা করার জন্য এনামুলকে তিন লক্ষ টাকার প্রলোভন দেয়। এনামুল হক কৌশলে গত ১৬ এপ্রিল সন্ধ্যার দিকে কামরুলকে মোটর সাইকেলযোগে খালিশপুর বিলের মধ্যে নিয়ে যায়। একপর্যায়ে জায়গাটি নির্জন হলে এনামুল হক ধারালো অস্ত্র (খুর) দিয়ে কামরুল ইসলাম এর গলায় উপর্যুপরি পোচ দিয়ে হত্যা করে এবং লাশটি ধানক্ষেতে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। বর্তমানে আসামি এনামুল হক জেল হাজতে রয়েছে।
আর/এস