কুষ্টিয়ার দৌলতপুর সীমান্তের ওপার ভারতের ভূ-খণ্ড থেকে রাশিদা খাতুন (৪০) নামে বাংলাদেশি এক নারীর লাশ উদ্ধার করেছে ভারতীয় পুলিশ। রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দৌলতপুর সীমান্তের ওপার ভারতের নদীয়া জেলার হোগলবাড়িয়া থানার কুড়মিপাড়া ভাদ্রিখোলা সীমান্ত এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। স্বামী পরিত্যক্তা নিহত ওই নারী দৌলতপুর উপজেলার প্রাগপুর ইউনিয়নের গুড়ারপাড়া গ্রামের আব্দুল কাদেরের মেয়ে এবং সে মৃগী রোগে আক্রান্ত ছিল। তবে কিভাবে তাকে হত্যা করা হয়েছে তা জানা যায়নি।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, ভারত সীমানায় নিহত বাংলাদেশী নারীর লাশ কুড়মিপাড়া ভাদ্রিখোলা সীমান্ত এলাকার ধানখোলার পাশে পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা ভারতের হোগলবাড়িয়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে হোগলবাড়িয়া থানা পুলিশ নিহত নারীর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের কৃষ্ণনগর জেলা সদরে জন্য মর্গে প্রেরণ করে।
নিহতের পরিবার সূত্র জানায়, রাশিদা খাতুন শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে বাড়ি থেকে বের হয়। বিভিন্ন স্থানে খোঁজখবর নিয়ে তার সন্ধান না পাওয়ায় গতকাল রোববার সন্ধ্যায় নিহত ওই নারীর ছবি দেখে আব্দুল কাদেরের পরিবার জানতে পারে ভারতের পুলিশের হাতে উদ্ধার হওয়া ওই নারীর লাশ রাশিদা খাতুনের। পরে তার লাশ ফেরতের বিষয়ে বিজিবি’র সাথে যোগাযোগ করে।
নিহত বাংলাদেশী নারীর লাশ ফেরতের বিষয়ে ৪৭ বিজিবি ব্যাটালিয়ন অধীনস্থ প্রাগপুর কোম্পানী কমান্ডার সুবেদার আমজাদ হোসেন জানান, নিহতের লাশ ফেরতের চেয়ে বিএসএফকে পত্র প্রেরণ করা হবে। তারা লাশ ফেরত দিলে পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হবে।
জেএন