বাঘা (রাজশাহী) প্রতিনিধি: রাজশাহীর বাঘা পৌরবাসী সামান্য বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় সড়কগুলোতে সীমাহীন দুর্ভোগে পড়ে। প্রধান সড়ক থেকে অলিগলি পানিতে জমে যায়। বর্ষায় ভয়াবহ আকার ধারন করলেও দায়িত্বপ্রাপ্তরা জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি দেয়ার প্রতিশ্রুত দিয়েও তা বাস্তবায়ন করতে পারেনি। বৃষ্টির পানি দ্রুত সরাতে এক কোটি ২৫ লক্ষ টাকায় বিভিন্ন প্রকল্প নেয়া হয়েছে। কিন্তু বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার পর থেকে সামান্য বৃষ্টিতে এলাকা দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। বৃষ্টির কারনে রাস্তাঘাট, উপজেলা পরিষদ চত্বর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পানি জমে রয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ড্রেন নির্মানে যে, পরিমাণ অর্থ ব্যয় করছে, সেই পরিমাণ সুফল মিলছে না। অপরিকল্পিত ড্রেন নির্মাণের কারণে বৃষ্টির পানি ড্রেনে নামতে পারছে না। এছাড়া আগের যে, ড্রেনগুলো আছে সেগুলো পরিষ্কার করার ব্যাপারে কোন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ফলে নতুন করে ব্যাপক অর্থ খরচ করা হলেও সুফল পচ্ছে পৌরবাসী।
ইতোপূর্বে ড্রেন পরিষ্কারের পেছনে ব্যাপক অর্থ ব্যয় করা হলেও কোন কাজে আসছে না। ফলে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। পরিকল্পনা আর ডিজাইনের ত্রুটির কারনে এমন অবস্থা। একটু বৃষ্টি হলেই বাঘা পৌরবাসী ভোগান্তিতে পড়ে। এছাড়া বিভিন্ন নির্মাণসামগ্রী রাখার কারনে চলাচলের অনউপযোগী হয়ে পড়েছে সড়ক। ফলে পানি আর কাদা জমে রাস্তা হয় চলাচলে বিপদজনক।
বাঘা পৌর সহকারি প্রকৌশলী শহিদুল ইসলাম বলেন, তদারকি পর ত্রুটি ধরা পড়ে।
তারপর সিডিউল মোতাবেক কাজ করার জন্য ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দেয়া হয়। কাজ ঠিকভাবে না করার দায়ে কিছু ঠিকাদারের বিল আটকে রাখা হয়েছে।
বাঘা পৌর মেয়র আব্দুর রাজ্জাক বলেন, আমি মেয়র নির্বাচিত হওয়ার আগের এগুলো প্রকল্প। তবে কাজের মান যেন ভালো হয়, সেদিকে নজরদারি রয়েছে। কাজ শেষ হলে আর জলাবন্ধাতা থাকবে না।
/জেএন