সাভারের আশুলিয়ায় ভাড়া বাসার একটি কক্ষ থেকে এক শিশু ও তার বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে। ভাদাইল পবনারটেক রূপায়ন গেট এলাকার একটি টিনসেট ভাড়া বাড়ি থেকে গতকাল শনিবার (০৬ নভেম্বর) রাত ১টার দিকে মরদেহগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।
মৃতরা হলেন- কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাগি থানার চর গরুক মন্ডল গ্রামের সবুর আলী (২৮), তার স্ত্রী রোজিনা (২৫) ও মেয়ে সুমাইয়া (০৯)। রোজিনা ওই এলাকার ফজর আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় মেডলার কারখানায় চাকরি করতেন।
রোজিনা আক্তার একটি পোশাক কারখানা চাকরি করতো ও সবুর অটোরিকশা চালক ছিলেন। তাদের ৯ বছরের মেয়ে সুমাইয়া স্থানীয় একটি মাদরাসায় পড়ালেখা করতো বলে জানা গেছে।
ছবুরের ভাই শহীদ আলী বলেন, আমার ভাই রিকশা চালাতেন, ভাবি পোশাক শ্রমিক। গত ৩ নভেম্বর জমি বন্ধকের টাকা দিয়ে কেনা নতুন রিকশাটি চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি আমাকে জানিয়ে ভাই বলেছিলেন ঘটনাটি যেন ভাবিকে না জানাই। শুক্রবার থেকে ভাইয়ের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করছিলাম। কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি। পরে শনিবার সন্ধ্যায় আমার বোনকে নিয়ে তাদের বাসায় আসি। কিন্তু দরজা বন্ধ ছিল। ডাকাডাকিতে সাড়া না দেয়ায়, দরজার নিচ দিয়ে উঁকি দেই। দেখি ভাই দড়িতে ঝুলছে। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় পুলিশকে খবর দেই। তারা এসে তিন জনের মরদেহ উদ্ধার করে।
আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আল-মামুন সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে। কী কারণে সবুর মিয়া আত্মহত্যা করেছেন তার রহস্য উদঘাটন করার চেষ্টা চলছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, স্ত্রী-সন্তানকে শ্বাসরোধে হত্যা করেছেন সবুর মিয়া।
বিএ/