সাংবাদিকের কণ্ঠরোধে দেশে দেশে আইন হচ্ছে উল্লেখ করে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেছেন, এর ফলে সংবাদমাধ্যমের কণ্ঠরোধের সুযোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে। পাশাপাশি সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আরও বেশি হুমকিতে পড়ছে।
বুধবার (৩ মে) বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।
জাতিসংঘ মহাসচিব বলেন, সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা হলো গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের ভিত্তি। স্বাধীন সংবাদমাধ্যম বস্তুনিষ্ঠ তথ্য উপস্থাপন করে আমাদের মতামত গঠনে এবং ক্ষমতায় থেকে সত্য বলতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে। কিন্তু বিশ্বের প্রতি প্রান্তে সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতা আজ আক্রান্ত।
তিনি বলেন, পেশাগত দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে সাংবাদিকরা ইন্টারনেটে এবং প্রাত্যহিক জীবনে সরাসরি আক্রমণের শিকার হচ্ছেন। হয়রানি, ভয়ভীতি প্রদর্শন, আটক ও কারাবন্দী হওয়া যেন তাদের জীবনের নিয়মিত ঘটনা হয়ে উঠছে। বিশ্বে ২০২২ সালে অন্তত ৬৭ জন সংবাদমাধ্যমকর্মী নিহত হয়েছেন। যা আগের বছরের তুলনায় অবিশ্বাস্যভাবে ৫০ শতাংশ বেশি। নারী সাংবাদিকদের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ অনলাইনে সহিংসতার শিকার হয়েছেন এবং এক-চতুর্থাংশকে সরাসরি হুমকি দেওয়া হয়েছে।
আন্তোনিও গুতেরেস বলেন, সংবাদমাধ্যমকর্মীদের সুরক্ষায় এবং তাদের ওপর হওয়া অন্যায়ের দায়মুক্তির প্রবণতার ইতি টানতে ১০ বছর আগে জাতিসংঘ প্ল্যান অব অ্যাকশন অন দ্য সেফটি অব জার্নালিস্ট বা সাংবাদিকদের নিরাপত্তায় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করে।
তিনি বলেন, বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসে সারা বিশ্বকে আজ একসুরে কথা বলতে হবে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের হুমকি-আক্রমণ, আটক ও কারাবন্দী করা বন্ধ করতে হবে। পাশাপাশি মিথ্যা ও গুজব রুখে দিতে হবে। সত্যের পক্ষে দাঁড়ানো সাংবাদিকের পাশে সারা বিশ্ব দাঁড়িয়ে আছে।
বিএ/