1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
সহিংসতা, দমনপীড়নের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচনী রণ - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১ জানয়ারী ২০২৫, ০৪:৫১ অপরাহ্ন

সহিংসতা, দমনপীড়নের মধ্যে বাংলাদেশে নির্বাচনী রণ

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০১৮

খবর ২৪ঘণ্টা ডেস্ক: চারদিন পর বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন। ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও রাজনৈতিক প্রচারণার সুযোগ প্রত্যাখ্যান করার মধ্য দিয়ে এ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও প্রধান বিরোধী দলীয় জোট তাদের রণকৌশল নির্ধারণ করেছে। অনলাইন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা লিখেছেন সাংবাদিক শুভজিত রয়।
তিনি আরো লিখেছেন, মঙ্গলবার বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে একটি বৈঠকে ক্ষুব্ধ হয়ে বেরিয়ে এসেছেন বিরোধী দলীয় নেতারা।

তারা পরে নির্বাচন কমিশনকে ‘পক্ষপাতী’ বলে আখ্যায়িত করেছেন। ২৭ শে ডিসেম্বর ঢাকায় তাদেরকে একটি র‌্যালি করার অনুমতি না দেয়ায় বিরোধী দলীয় জোট হতাশ। এরই মধ্যে আওয়ামী লীগও নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছে যে, তাদের কর্মীদের টার্গেট করছে বিএনপি।
বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা হলো ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচন। তবে এ নির্বাচন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ও দুর্নীতির অভিযোগে কারাবন্দি নেত্রী খালেদা জিয়ার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির নেতৃত্বে প্রধান বিরোধী জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতা ভয়ঙ্কর রূপ নিয়েছে।

বিএনপির সিনিয়র নেতা রুহুল কবির রিজভি অভিযোগ করেছেন, সোমবার ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ দিন। বিরোধী দলের র‌্যালি ও প্রচারণার ওপর হামলা করেছে পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
তবে এই অভিযোগ কড়াভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান বলেছেন, যেহেতু দেশব্যাপী আমাদের সমর্থক ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও হয়রান করা হচ্ছে তাই আমরা জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এবং বিএনপি-জামায়াতের লোকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়েছি।

উত্তেজনাকর পরিস্থিতি শান্ত করতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে নির্বাচন সংক্রান্ত একটি বিষয় হলো সংখ্যালঘুদের সঙ্গে আচরণ, যাকে একটি ‘স্পর্শকাতর ইস্যু’ হিসেবে দেখা হয়। এ ইস্যুটি ক্রমবর্ধমান হারে ঢাকায় কূটনৈতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করছে।
১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশে শতকরা প্রায় ১০ ভাগ হলেন সংখ্যালঘু। এর মধ্যে শতকরা ৮ থেকে ৯ ভাগ হলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের। খ্রিস্টান শতকরা প্রায় ০.৫ ভাগ। বাকিরা বৌদ্ধ।

বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট নির্মল রোজারিও দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন, অতীতে সংখ্যালঘুদের ওপর হুমকির বিষয়ে আমরা সচেতন। সরকার যখন পরিস্থিতি সামাল দিতে পদক্ষেপ নিচ্ছে, তাই আমরা আমাদের সম্প্রদায়কে উদ্বুদ্ধ করছি যাতে তারা সাম্প্রদায়িক শক্তিকে ভোট না দেন। একটি নিরপেক্ষ ও ধর্মনিরপেক্ষ সরকার হওয়া উচিত।
১৯৯১ সালের নির্বাচনের পর সংখ্যালঘুরা একমাসের মতো যে নির্যাতন ও নিস্পেষণের শিকার হয়েছেন তা তুলে ধরেন রোজারিও। ২০০১  সালেও একই রকম হামলা হয়েছে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকারকে আদালত একটি নির্দেশনা দেয়। তাতে এমন ৫০০০ সহিংসতার তদন্ত করতে একটি বিচার বিভাগীয় কমিশন গঠন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়। কিন্তু ওই কমিশনের রিপোর্ট কখনো জনসমুক্ষে প্রকাশ করা হয় নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের ক্ষমতা ১০ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও এসব ঘটনার দায়ীদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয় নি। হিন্দু সংখ্যালঘু নেতা রানা দাসগুপ্ত বলেছেন, এবার আমরা নজর রাখছি। এমন পরিস্থিতিতে প্রধান প্রধান সব রাজনৈতিক দল ও নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিজেদের নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য বৈঠক করেছে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ।

এবার এসব সংখ্যালঘুদের ভোটব্যাংক ধরতে বড় বড় রাজনৈতিক দলগুলো তাদেরকে আশ্বস্ত করতে ও নিশ্চয়তা দেয়ার চেষ্টা করছে। এ জন্য আওয়ামী লীগ এবার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ১৮ জনকে প্রার্থী দিয়েছে। বিএনপি দিয়েছে ৭ জনকে এবং এইচএম এরশাদের জাতীয় পার্টি দিয়েছে তিনজন প্রার্থী। এ ছাড়া নির্বাচনী মেনিফেস্টোতে আওয়ামী লীগ বলেছে, তারা সংখ্যালঘুদের জন্য একটি জাতীয় কমিশন গঠন করবে। তারা বলেছে, সংখ্যালঘু ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে বৈষম্যমূলক আইন ও সিস্টেম বাতিল করা হবে। কোনো বৈষম্য থাকবে না।
বিএনপিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায় বিষয়ক একটি আলাদা মন্ত্রণালয় গঠনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।

খবর ২৪ঘণ্টানই

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST