খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: সমস্যার মূল রয়েছে মিয়ানমারে, এর সমাধানও বের করতে হবে তাদেরকেই। মিয়ানমার যাতে তাদের নাগরিকদের বাংলাদেশ থেকে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হয়, সে ব্যাপারে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে চাপ অব্যাহত রাখতে হবে। বললেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
স্থানীয় সময় সোমবার ভ্যাটিক্যান সিটির সেক্রেটারি অব স্টেট কার্ডিনাল পিয়েট্রো প্যারোলিনের সঙ্গে এক বৈঠকে একথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
শেখ হাসিনা ভ্যাটিক্যান সিটির সেক্রেটারি অব স্টেটকে জানান, মিয়ানমারের স্বদেশ ভূমি থেকে পালিয়ে আসা ১০ লাখ রোহিঙ্গার প্রত্যাবাসনে বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের মধ্যে একটি চুক্তি সই হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, সীমান্তের ওপার থেকে সমস্যার সৃষ্টি করা হয়েছে এবং এর সমাধানও রয়েছে সেখানে। তাই চুক্তি বাস্তবায়নও করতে হবে মিয়ানমারকে। কিন্তু এ ব্যাপারে আমরা এখনও মিয়ানমারের কাছ থেকে কোনও সাড়া পাইনি।
শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। রোহিঙ্গারা যাতে তাদের স্বদেশে ফিরে যেতে উৎসাহিত হয় মিয়ানমারকে সে ধরনের পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। এ দায়িত্ব মিয়ানমার সরকারকে নিতে হবে।
বৈঠক শেষে পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল হক এবং ভ্যাটিক্যান সিটিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শামীম আহসান এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের অবহিত করেন।
তিনি বলেন, গত বছর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে এ সমস্যা সমাধানে ৫ দফা প্রস্তাব পেশ করেছি। মিয়ানমার এখনও কফি আনান কমিশনের রিপোর্ট বাস্তবায়ন করেনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ধর্মের নামে মানুষ হত্যা কোনও কারণেই উচিত নয়। তিনি অন্য দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদী কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের মাটি ব্যবহার করতে না দেয়ার তাঁর সরকারের দৃঢ় অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
২০১৬ সালের ১ জুলাই হলি আর্টিজান হামলা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তির বিষয় খুবই সচেতনতার সৃষ্টি হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কঠোর হাতে সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ দমন করছি এবং দেশে জঙ্গিবাদের সকল আশ্রয়স্থল ভেঙ্গে দিয়েছি।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/রখ