1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
সচিনের থেকে কি কেড়ে নেওয়া হবে ভারতরত্ন - খবর ২৪ ঘণ্টা
শুকরবার, ১০ জানয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৭ অপরাহ্ন

সচিনের থেকে কি কেড়ে নেওয়া হবে ভারতরত্ন

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৫ আগস্ট, ২০১৮

খেলা ডেস্ক: এ যাত্রায় বাঁচলেন সচিন। বেঁচে রইল তাঁর ভারতরত্ন সম্মান। হ্যাঁ, বাঁচলেনই বলা যেতে পারে। কারণ, ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিতদের মধ্যে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি বেসরকারি বিজ্ঞাপন করে থাকেন।

আর কোনও ভারতরত্ন প্রাপক এই বেসরকারি বিজ্ঞাপনগুলি করতে পারেন কি না এই নিয়ে কলকাতা আদালতে একটি জনস্বার্থ মামলা করেন কমল দে নামে এক ব্যক্তি। সেই মামলাটি নিস্পত্তি করে দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। কিন্তু মামলা গড়াতে পারে সুপ্রিমকোর্টে।

২৪ বছরের লম্বা ক্রিকেট কেরিয়ারে পঞ্চাশটিরও বেশি সংস্থার বিজ্ঞাপন করেছেন সচিন। ক্রিকেট খেলাকালীন বিজ্ঞাপন বাবদ তিনি পেতেন ৫০০ কোটি টাকা। তিনি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন সাড়ে প্রায় পাঁচ বছর হয়ে গিয়েছে।

কিন্তু মাস্টার ব্লাস্টারের ব্র্যান্ড ভ্যাল্যু এখনও বিশাল। ২০১৬-র তথ্য অনুযায়ী তিনি এখনও আটটি বেসরকারি সংস্থার বিজ্ঞাপনের কাজ করেন। এই পুরো বিষয়টি নিয়েই মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে।

মামলার বয়ান অনুযায়ী দেশের কোনও নাগরিক ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হাওয়ার পরও কি তিনি কোনও বেসরকারি বিজ্ঞাপন করতে পারেন? এই প্রশ্নকে সামনে রেখেই কমল দে নামে এক ব্যক্তি কলকাতা হাইকোর্টে ভারতরত্ন সচিন তেন্ডুলকরের ‘বিরুদ্ধে’ জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেন গত এপ্রিল মাসে।

শুক্রবার হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি জোতির্ময় ভট্টাচার্য্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ এই মামলার রায় আপাতত সচিনের পক্ষে দিয়েছেন। মামলা নিষ্পত্তি করে দিয়েছেন তাঁরা। মামলাকারীর আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্তর বেঞ্চ জানিয়েছেন, যার বিরুদ্ধে কমল দে মামলা করেছেন তিনি রাজ্যের বাসিন্দাই নন। তাই এই বিষয়ে কলকাতা থেকে সিদ্ধান্ত দেওয়া যাবে না। তাঁকে যেতে হবে দিল্লি হাইকোর্টে অথবা সুপ্রিমকোর্টে।

এদিন মামলাকারী কমল দে’র আইনজীবী শ্রীকান্ত দত্ত আদালতকে জানিয়েছিলেন, এখনও পর্যন্ত মোট ৪৫ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। যার মধ্যে ৪৪ জনই ভারতরত্ন সম্মানে সম্মানিত করা হয়েছে। তিনি আদালতে বলেন, দেশের প্রথম ভারতরত্ন প্রাপক সি রাজাগোপালাচারি থেকে শুরু করে সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন, জহরলাল নেহেরু, ডঃ বিধানচন্দ্র রায়, ইন্দিরা গান্ধী, মাদার টেরেসা, ডক্টর বি আর আম্বেদকর, নেলসন ম্যান্ডেলা, আবুল কালাম আজাদ, সত্যজিৎ রায়, অমর্ত্য সেন, আরও অনেক মহান ব্যক্তিত্ব আছেন।

এঁরা কেউ কোনও দিনই বেসরকারি বিজ্ঞাপন করেননি। তাহলে কিভাবে দেশের সবচেয়ে বড় নাগরিক সম্মানে ভূষিত হওয়া সচিন তেন্ডুলকর বেসরকারি বিজ্ঞাপন করলেন? বিষয়টি কতটা যুক্তিযুক্ত, এই প্রশ্ন তোলেন তিনি৷ শ্রীকান্তবাবু দাবি করেন, এর জন্য সুনির্দিষ্ট গাইড লাইনের প্রয়োজন রয়েছে।

এই বিষয়ে কোনও উত্তর না দিয়ে মামলার নিস্পত্তি করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। কারণ, সচিন মুম্বইবাসী। তবে মামলার নিস্পত্তি দিলেও প্রধান বিচারপতি জোতির্ময় ভট্টাচার্য্য ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ মামলাকারী আবেদন খারিজ না করে তাঁকে দিল্লি অথবা সুপ্রিমকোর্টে মামলা করার অনুমতি দিয়েছেন। এক্ষেত্রে কমলবাবুর এখনও লড়ে যাওয়ার সুযোগ রইল। চাপে রইল সচিনের ভারতরত্ন সম্মানও।

/জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST