শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরের বড়পুকুরিয়া গ্রামে পরকীয়া প্রেমে বাধা দেওয়ায় অন্তঃসত্তা স্ত্রী মায়া বেগমকে(২৬)মারধরের ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়েছে।
অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের মদনপুর গ্রামের ফরিদ উদ্দিনের মেয়ে মোছা. মায়া বেগমের গত ৮ বছর আগে বিশালপুর ইউনিয়নের বড়পুকুরিয়া গ্রামের মোসলেম উদ্দিনের ছেলে শফিক মিয়ার সাথে বিয়ে হয়। তাদের সংসার জীবনে ছয় বছরের তামিম নামের একটি ছেলের জন্ম হয়। বর্তমানে মায়া বেগম ২ মাসের অন্তঃসত্তা। স্বামী শফিকের পরকিয়া প্রেমে বাধা দেওয়ার জের ধরে গত ০৭ সেপ্টেম্বর রাত ১০ টার দিকে মায়া বেগমকে মারধর করে। এতে সে গুরুতর আহত হয়। মারধরের খবর শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসলে তাদেরকে শফিক হুমকি দিয়ে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। পরে প্রতিবেশীরা মায়ার পিতা ও মাকে খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে মেয়েকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে শেরপুর উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করে দেন। এ ঘটনায় সুষ্ঠ বিচারের আশায় আহতের পিতা ফরিদ উদ্দিন বাদি হয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে শেরপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান অভিযোগের কথা স্বিকার করে বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই