শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: নতুন ভবন পাবার অপোয় রয়েছে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। ভবনবিহীন ও জরাজীর্ণ পুরাতন ভবনের বদলে বিদ্যালয়গুলো পেতে যাচ্ছে নতুন আধুনিক বহুতল ভবন। প্রায় ২৯ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর তত্ত্বাবধানে শেরপুর উপজেলায় ৩৩টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চলছে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) এর শেরপুর উপজেলা প্রকৌশল অফিস
সুত্রে জানা গেছে, ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে শেরপুর উপজেলায় ১৪ কোটি ২৮ লাখ ৫৪ হাজার টাকা ব্যয়ে ১৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ শুরু হয়। এর মধ্যে ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অপরদিকে ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে ১৪ কোটি ৩৬ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নতুন করে শুরু হয় ১৭টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ। এর মধ্যে ১টি বিদ্যালয়ের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। বাকিগুলো নির্মাণের কাজ চলছে। এর মধ্যে নতুন জাতীয় করণ হওয়া ১১টি বিদ্যালয়ও রয়েছে। নতুন ভবন গুলো হস্তান্তরিত হলে বিদ্যালয়ে শ্রেনীক সংকট দুর হবে এবং শিার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশের সৃষ্টি হবে।
উপ সহকারী প্রকৌশলী আব্দুর রাজ্জাক জানান, প্রতিটি বিদ্যালয়ে ৪ থেকে ৫টি শ্রেনীকসহ বহুতল ভিত সম্পন্ন দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে। তবে বিদ্যালয়ের শ্রেনী ভেদে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো ৮১ লাখ টাকা থেকে ১ কোটি ২ লাখ টাকা ব্যয়ে ভবন গুলো নির্মাণ করছে। এগুলোর নির্মাণ কাজ যথাযথ তদারকি করা হচ্ছে।
যেসব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন ভবন নির্মিত হচ্ছে সেগুলো হলো- স্বরো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বড়াইদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বোংগা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঘোড়দৌড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জয়নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, করিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলনোথার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বালেন্দা
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঘোলঘরিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,শিমলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কালসিমাটি বালক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,মহিপুর কলোনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ছাতিয়ানী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,গোপালপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চকপাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, বাগমারা শান্তিনিকেতন সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়,চকখানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,চোমরপাথালিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উদগ্রাম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, কেল্লা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,রাজাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,নিশিন্দারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,খামারকান্দি পুর্বপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,বারদুয়ারী নছিরননেছা সরকারি
প্রাথমিক বিদ্যালয়, বিলজয়সাগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,ঘোলাগাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,আড়ংশাইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ররোয়া আরজিনা হামিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, চোমরপাথারিয়া বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,দশশিকাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও ভায়রা পালাসন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়।
উপজেলা প্রকৌশলী নূর মোহাম্মদ জানান, ২০১৯ সালের মধ্যেই নির্মাণধীন বিদ্যালয়ের নতুন ভবনগুলো হস্তান্তর করা হবে বলে আশাকরি। বিদ্যালয়ের ভবনগুলো নির্মাণে মান বজায় রাখতে সার্বণিক তদারকি করা হচ্ছেও বলে তিনি জানান।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন