শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: করোনা ভাইরাসের কারণে সারাদেশে সকল সরকারি- বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ। বেশ বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া হচ্ছে শিক্ষক-কর্মচারীদের বেতন ভাতা ও শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি। সরকারিভাবে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের খোলার দিনক্ষণ নির্ধারণ করতে পারলেও বিধি নিষেধ উপেক্ষা করে বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যালয়ের ক্লাস রুমে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম চলছেই। এতে হতবাক হয়ে পড়েছে সচেতন মহল।
৯ সেপ্টেম্বর বুধবার বেলা ২টার দিকে উপজেলার কুসুম্বী ইউনিয়নের টুনিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে এমন ঘটনা দেখা গেছে। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আরেফা খাতুন নিজেই পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের গণিত বিষয়ের ক্লাস নিচ্ছেন।
বিদ্যালয় কক্ষে শিক্ষার্থীদের ক্লাস করানো বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, শুধু পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রছাত্রীদের সাজেশন দেবার জন্য তাদের ডেকে আনা হয়েছে।
করোনা চলাকালীন সময়ে দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় সপ্তাহে একদিন বিদ্যালয়ে ক্লাস নেন শিক্ষকেরা বলে একাধিক শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেছে।
এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মিনা পারভীন জানান, এসময় ক্লাস নেয়া যাবে না। তবে ৫ জন করে ডেকে এনে পড়া দেখে দিতে পারেন। এ ব্যাপারে সরকারি নিদের্শনা আছে বলে তিনি দাবী করেন।
এ প্রসঙ্গে বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কামরুল হাসান জানান, করোনাকালীন এই সময়ে ক্লাসরুমে শিক্ষা কার্যক্রমের কোন নিদের্শনা নেই। তবে শিক্ষকেরা মুঠোফোনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করবেন।
এ বিষয়ে শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, বিষয়টি অবগতি হয়েছি, তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই