শেরপুর(বগুড়া)প্রতিনিধি: বগুড়ার শেরপুরে ফকিরতলা এলাকায় রনক স্পিনিং মিলে রাহেনা আক্তার (১৯) নামের এক নারী শ্রমিকের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে।
জানা যায়, করোনার কারনে কারখানা ছুটি ঘোষণা হলে রাহেনা আক্তার সিরাজগঞ্জ কোন এক আত্মীয়র বাড়িতে বেড়াতে যায়। পরে কুড়িগ্রাম জেলার সদর উপজেলার লক্ষিকান্ত গ্রামে নিজ বাড়িতে চলে যান। কয়েকদিন বাড়িতে থাকার পরে হঠাৎ জ্বর ও শর্দি দেখা দিলে তিনি স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ২৯ এপ্রিল তার নমুনা সংগ্রহ করার পর সে ফলাফল না নিয়েই কোম্পানির নির্দেশ অনুযায়ী কর্মস্থলে যোগদান করতে তার মাকে নিয়ে কোম্পানির আবাসিক কোয়াটারে চলে আসেন।
এদিকে গত শনিবার (২রা এপ্রিল) রাতে কুড়িগ্রাম থেকে স্থানীয় প্রশাসন শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জরুরী ভিত্তিতে জানান যে, রাহেনা আক্তারের শরীরে করোনা ভাইরাস পজিটিভ রিপোর্ট এসেছে তাকে ওই করখানায় রাখা যাবেনা। এই খবরে শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের সহযোগীতায় শনিবার রাতে রাহেনা ও তার মাকে কোম্পানির নিজস্ব মাইক্রোতে ফুল প্রটেক্টিভের মাধ্যমে কুড়িগ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক রনক স্পিনিং মিলে কর্মরত শ্রমিক জানান, রাহেনা আক্তার আক্রান্ত অবস্থায় আমাদের মাঝে এসেছে এবং কোম্পানির অনেক মানুষের সংস্পর্শে এসেছে সে। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা কেউ অবগত ছিলাম না। এখন আমাদের সকলের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। করোনা ভাইরাস পুরো কারখানায় ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছি।
এ বিষয়ে ভবানীপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম আজাদের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, সীমাবাড়ি-রানিরহাট সড়কের ভবানীপুরের পার্শ্ববর্তী এলাকা ফকিরতলায় রনক স্পিনিং মিলের শ্রমিক রাহেনা আক্তার নামের ১৯ বছর বয়সী এক মেয়ের শরীরে করোনা পজিটিভ এসেছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহি কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্মকর্তা ডা. আব্দুল কাদের লকডাউন চেয়ে আবেদন দিলে উর্ধতন কর্তৃপক্ষ লকডাউনের ব্যাপারে ব্যবস্থা নিবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই