নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রীকে অটোরিক্সার মধ্যে শ্লীলতাহানী করে ফেলে দেওয়ার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত মঙ্গলবার রাতে নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানায় রুয়েটের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ভুক্তভোগী ছাত্রী সানজিদা বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা ৪ জন ও অটোরিক্সাকে আসামী করা হয়েছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করে বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসি নিবারন চন্দ্র বর্মন বলেন, রুয়েট ছাত্রীকে অটোরিক্সার মধ্যে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই ছাত্রী নিজেই
বাদী হয়ে থানায় অজ্ঞাতনামা ৫ জনকে আসামী করে মামলাটি দায়ের করেন। আসামীদের সনাক্ত করার চেষ্টা চলছে। সনাক্ত হলে আসামী গ্রেফতার করা হবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট সোমবার ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী রুয়েট ক্যাম্পাস থেকে বাসায়
ফেরার সময় অটোরিক্সায় শ্লীলতাহানীর শিকার হয়। পরে তিনি তার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লেখেন, আমার বাসা নগরীর উপশহর এলাকায়। বাসা দূর বলে আমি সাধারণত রুয়েট থেকে রেলগেইট পর্যন্ত অটোতে আসি। আজকেও প্রতিদিনের মতো অটো নিলাম। সাথে ছিল দুইজন অপরিচিত রুয়েটিয়ান ভাইয়া আর একজন ভদ্রলোক। রুয়েটিয়ান
ভাইয়া দুইজন চিশতিয়ার সামনে নেমে গেলেন। ভদ্রা পার হয়ে কিছুদূর যাওয়ার পর হঠাৎ অটোওয়ালা অটো থামিয়ে দিলো, সামনে থাকা ভদ্রলোককে বললো, আপনি নেমে যান নিজস্ব লোক তুলবো। আমি কিছু বুঝে উঠার আগেই ওই ভদ্রলোককে জোরপূর্র্বক নামিয়ে চারজন গুÐা উঠলে অটো চালানো শুরু হলে গেল। ভদ্রা থেকে রেল স্টেশন পর্যন্ত রাস্তা মোটামুটি নির্জন, ইচ্ছামত সেই চারজন আমাকে স্পর্শ করা শুরু করলো। হাজারবার অটো থামানোর জন্য
চিৎকার করলেও অটোওয়ালা পশুর মত হাসতে থাকলো। পরে নগরভবনের সামনে পুলিশ দাড়া থাকতে দেখে ভয় পেয়ে তারা অটো থেকে ধাক্কা মেরে আমাকে ফেলে দিয়ে তারা দ্রত চলে গেল। যতক্ষনে নিজের পায়ে দাঁড় হতে পেরেছি ততক্ষণে অটো বহুদূর। কাহিনীটা শুধু শেয়ার করলাম। এইটা বাংলাদেশ, কোনো বিচারের আশা আমি করিনা। বি.দ্র: দিয়ে লেখেন অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে, আমার পোশাক কি ছিল? সাধারণ বাঙ্গালীর মতো সালোয়ার কামিজ।
আর/এস