রুপার চেইনের লোভে চারঘাটে ননদের ছেলেকে হত্যা: নারীসহ আটক ২
প্রকাশের সময় :
বৃস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০২০
নিজস্ব প্রতিবেদক : শিশুর গলায় থাকা মাত্র আড়াই থেকে তিন টাকা মূল্যের রুপার চেইন ও কোমরের বিছার জন্য প্রতিবেশী এক শিশুকে অপহরণ করে হত্যা করেছে এক নারী ও তার সহযোগী পুরুষ।
পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর প্রতিবেশী নারী ও পুরুষ আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। আটককৃতরা হলেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলার চক শিমুলিয়া গ্রামের আফজাল হোসেনের ছেলে স্ত্রী পারভীন বেগম (৩৫) ও একই গ্রামের তার সহযোগী আমজাদ। রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সদর ইফতেখায়ের আলম জানান চলতি মাসের ৯ আগস্ট চারঘাট মডেল থানাধীন কালুহাটি গ্রাম সংলগ্ন বড়াল নদীতে ভাসমান অবস্থায় এক বছর সাত মাস বয়সী শিশু আজমাইন সারোয়ার আলিফের মরদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনায় শিশু আলিফের মা চম্পা বেগম, স্বামী : তারেক, সাং : চকশিমুলিয়া, থানা: চারঘাট, রাজশাহী বাদী হয়ে পারভীন বেগম নামক একজনকে
এজাহারনামীয় আসামী করে চারঘাট থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে নিয়ে রাজশাহীর পুলিশ সুপার জনাব মোঃ শহিদুল্লাহ বিপিএম, পিপিএম মহোদয়ের নির্দেশনায় চারঘাট থানা পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে এজাহার নামীয় আসামী পারভীন বেগমকে গ্রেফতার করে। পরিবর্তীতে আসামীকে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, সে ও একই গ্রামের মাদকাসক্ত তার সহযোগী আসামী আজাদ ৭ তারিখে শিশু আলিফকে অপহরণ ও হত্যার পূর্ব পরিকল্পনা করে। সেই পরিকল্পনা মোতাবেক ৮ তারিখ শিশুটিকে কোলে নিয়ে পারভীন তার বাড়ীর সামনে রাস্তায় পূর্ব হতে অপেক্ষমান সহযোগী আসামী আজাদ এর কাছে হস্তান্তর করে। আসামী আজাদ শিশুটিকে বড়াল নদীতে ফেলে দিয়ে তার শরীরে থাকা রুপার চেইন ও কোমরের বিছা আসামী পারভীনকে দিলে সে আসামী
আজাদকে এর জন্য ৩০০ টাকা দেয়। আসামী পারভীনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে তার বাড়ীর ভিতর আঙ্গিনায় লিচু গাছের নীচে মাটিতে পোতা অবস্থায় শিশু আলিফ এর রুপার চেইন ও কোমরের বিছা উদ্ধার করা হয়। আসামী পারভীন দোষ স্বীকার করে আদালতে বৃহস্পতিবার ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মুলক জবানবন্দি প্রদান করে। আসামী আজাদকেও গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। উল্লখ্য, ৮ তারিখ দুপুর আনুমানিক ১২ টায় আসামী পারভীন বাদীনির বাড়ীতে এসে তার ছেলে শিশু আলিফকে কোলে নিয়ে তার বাড়ীতে যায়। পারভীন বাদির প্রতিবেশী ও সম্পর্কে আপন ভাবী। তখন শিশু আলিফের গলায় রুপার চেইন ও কোমরে ১টি রুপার বিছা ছিল। ওই দিন দুপুর ১ টার দিকে বাদীনি তার ছেলেকে খোঁজাখুজি করে কোথাও না পেয়ে পারভীন বেগম এর বাড়ীতে গিয়ে ছেলের বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে সে অস্বীকার করে। তারপর থেকেই বাদীনির সন্তানটি নিখোঁজ ছিল।
এমকে