গোদাগাড়ী প্রতিনিধিঃ রাজশাহীর গোদাগাড়ী মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই ) আব্দুল করিম দীর্ঘদিন হতে এই থানায় কর্মরত আছেন। চলন-বলন বেশ গাম্বীর্য দেখা যায়। তাঁর কর্মকান্ডের জন্য মাঝে মধ্যেই সে স্থানীয় ভাবে আলোচনায় আসে। মাদক কারবারীদের ধর পাকড় বিষয়ে তার অর্থ আদায়সহ নানান বিষয়ে অভিযোগ উঠে। তবে পুলিশ বলে কথা প্রতিবাদ করার ইচ্ছে থাকলেও ভয়ে তেমন ভাবে কেউ প্রতিবাদ করার সাহস পাই না।
শুধু এই থানায় তার কর্মকান্ডের জন্য সমালোচিত না পূর্বে তার কর্মকান্ডের জন্য সাসপেন্ড হওয়ার মত নজির আছে।
সেই এসআই আব্দুল করিম গোদাগাড়ী থানায় আসার পর আচার আচরণে খারাপ হওয়ায় আলোচনায় এসেছ। তার দাম্ভিকতা এবার দেখালেন রিক্সা চালকের সাথে।
জানাযায়, বুধবার সন্ধ্যার দিকে গোদাগাড়ী শ্রীমন্তুপুর গ্রামের রিক্সা চালক মিঠু যাত্রী নামিয়ে তার বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। পেছনে দ্রুত গতিতে আসছিলেন এসআই আব্দুল করিম । রাস্তা থেকে ডান পাশে মুড দিতেই এসআই আব্দুল করিম রিক্স্রায় টক্কর দেওয়ার উপক্রম হলে মোটর সাইকেল হতে নেমেই কানের উপর চড় কষলেন।
রিক্সা চালক মিঠু জানান, আমি রিক্সা নিয়ে যাত্রী নামিয়ে গোদাগাড়ী স্কুল এ্যান্ড কলেজের হেয়ারিং রাস্তার দিকে যাচ্ছিলাম। তার আগে দেখলাম পুলিশের পোষাক পড়ে একটি মোটর সাইকেল দ্রুত গতিতে আসছে। তার দূরত্ব দূরে থাকাই আমি রিক্সাটি রাস্তা পার করলাম ততক্ষণে এসআই করিম রিক্সার পেছনে এসে থতমত খেয়ে দাঁড়িয়ে গেছে। এই মুহুর্তে এসআই করিম মোটর সাইকেল হতে নেমে কত দিন হতে রিক্সা চালাস জানতে চেয়ে আমি উত্তর দিলে হঠাৎ কানের উপর জোরে চড় মেরে চলে যায।
এতে আমি বিচার চেয়ে থানায় এসেছি। এই ঘটনায় গোদাগাড়ী প্রায় শতাধিক রিক্সা চালক মিঠুর উপর অন্যায় আচারণের জন্য সংঘবদ্ধ হয়ে থানার সামনে জড়ো হয়েছে।
পরে গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ হাশমত আলী বিষয়টি অবগত হলে রিক্সা চালক মিঠু ও এসআই করিমের মুখের কথা শুনে। উভয় পক্ষের কথা শুনার পর ওসি তদন্ত হাশমত আলী বুঝতে পারের পুলিশ হয়ে একজন রিক্সা চালকের সাথে এমন আচরণ ঠিক হয়নি এবং তিনি তার কথায় রিক্সা চালকের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করেন। এই এসময় এসআই আব্দুল করিম তার ভূল বুঝতে পেরে ওসি হাশমত আলীর হস্তক্ষেপে রিক্সা চালক মিঠুর হাত ধরে এসআই করিম ক্ষমা চাই। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে দন্ডটি সেখানেই শেষ হয়।
খবর ২৪ঘণ্টা/ নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।