নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অমান্য করে পুলিশ কর্তৃক নেতাকর্মীদের আটক, হয়রাণি ও নির্বাচন আচরণ বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে বিএনপির পক্ষ থেকে রিটানিং অফিসারের কাছে অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। নগর বিএনপি থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়, গত ১১ জুলাই রাত ২ টায় পুলিশ রাজপাড়া থানা বিএনপির নেতা কর্মীদের বাসায় তল্লাসী চালায়। এরমধ্যে ৩নং ওয়ার্ডের বিলশিমলা মহল্লার দিলদার হোসেন জনি, পিতা মোঃ সুরহান আলীকে কোন মামলা ছাড়াই বাসা থেকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায় এবং অন্যান্য নেতাকর্মীদের বাসায় তল্লাসী অব্যাহত রয়েছে। একই তারিখ রাত আনুমানিক ৯ টার দিকে ২০ নং ওয়ার্ডের কর্মী বোরহান উদ্দীন লিটন রাজশাহী চেম্বার অব কমার্স বিল্ডিং এর সামনে পোষ্টার লাগানোর সময় তাকে ব্যাপক মারধর করে আহত করে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। পরবর্তীতে পুলিশ তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা করে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়।
একই তারিখে রাজশাহী শহরের বিভিন্ন স্থানে গণসংযোগ ও প্রচারকার্য চালানোর সময় বিএনপি নেতা কর্মীদেরকে ভয়ভিতি হুমকি ও লাঞ্চিত অব্যাহত রহিয়াছে যাহাতে ধানের শীষ সমর্থকরা প্রচারকার্য চালাইতে পারতেছে না।
১২ জুলাই চন্দ্রিমা থানাস্থ ১৯ নং ওয়ার্ডের ছোটবনগ্রাম দক্ষিণ পাড়ার মো মেরাজকে রাত আনুমানিক ৯ টায় মসজিদ হতে বাড়ি যাওয়ার পথে চন্দ্রিমা থানার ওসি গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। সে মহানগর যুবদলের সদস্য।
২২ নং ওয়ার্ডে নির্বাচনী প্রচারণাকালে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদিকা রুবিনা নাসরিন চম্পাকে মহানগর আওয়ামীলীগের প্রচার সম্পাদক ও নির্বাচনী প্রচারণা কমিটির সদস্য সচিবসহ তার লোকজন নিয়ে ভয়ভিতি দেখিয়ে পরিবারের সদস্যদের তুলে নিয়ে যাওয়ার হুমকিও দেওয়া হয়। রিটানিং কর্মকর্তার কাছে করা আবেদনে বিএনপির পক্ষ থেকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে