নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে জনগন বিএনপি দলীয় মেয়র পদপ্রার্থী মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের ধানের শীষ প্রতীকেই ভোট দিয়ে জয়ী করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ভূমি উপমন্ত্রী এ্যাড. রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু।
সোমবার বিকেলে নগরীর একটি গার্ডেনে রাজশাহী মহানগর বিএনপি আয়োজিত বর্ধিত সভায় প্রধান বক্তার বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
তিনি আরো বলেন, খুলনা-গাজীপুর সিটি নির্বাচনে ভোট কারচুপি করে আ’লীগের প্রার্থীকে জেতানো হয়েছে। রাজশাহীতে ষড়যন্ত্র করে বিএনপি প্রার্থীকে হারানোর চেষ্টা করলে জনগন মেনে নেবে না। রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাটি। রাজশাহীর মাটিতে কখনোই আওয়ামী লীগ সফল হয়নি আর হবেও না। আগামী রাজশাহী সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মানুষ ধানের শীষেই ভোট দিবে।
বিএনপির মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব নেই। আগামী ৩০ রাসিক নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী বুলবুলকে জয়ী করে জেলের তালা ভেঙে খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা হবে।
রাজশাহী মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুলের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক সিটি মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।
মিনু প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, আগামী সিটি নির্বাচনে বিরের পেশে জিতবে হবে। খালেদার মুক্তি ও দেশের জনগণকে এই হাসিনার হাত হতে রক্ষা করতে ধানের শীষের কোন বিকল্প নেই। রাজশাহীর সিটি নির্চাচনে বিজয়ের মাধ্যমে খুনি হাসিনাকে বাংলাদেশ থেকে চিরতরে বিদায় করার ঘন্টা বাজানো হবে। দেশকে রক্ষ করতে বেগম জিয়ার নেতৃত্বে সংসদ গঠন করতে হবে। সেইসাথে আগামী সিটি নির্চাচনে সকল বাধা অতিক্রম করে দলীয় প্রার্থী বুলবুলকে বিজয়ী করতে হবে। বিএনপি এখন একতাবদ্ধ ও সুংগঠিত একটি দল। রাজশাহী ও বিভাগের সকল নেতৃবৃন্দ একণ একতাবদ্ধ। একতাবদ্ধ শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিএনপি’র প্রার্থীকে বিজয়ী করতে হবে। এরজন্য প্রতিটি নেতাকর্মীকে মাঠে থাকার আহবান জানান মিনু। বিশ^ বেহায়া এই অনির্বাচিত সরকারের প্রধানমন্ত্রী দেশকে একটি অকার্যকর দেশে পরিণত করেছে। দেশের গণগন্ত্র ধ্বংশ করেছে। দেশের গণগন্ত্র রক্ষা এবং গণতন্ত্রেও মানষকণ্যা দেশমাতা বেগম খালেদা জিয়াকে দ্রুত মুক্তি ও হাসিনা সরকারকে কঠোর আন্দোলনের মাধ্যমে বিতারিত করেত হবে। সেইসাথে আগামী ৩০ তারিখে সিটি নির্বাচনে বুলবুলকে বিজয়ী করে বেগম জিয়াকে উপহার দেওয়া হবে। খুলনা এবং গাজীপুরের মত নির্বাচন কোনভাবেই হতে দেওয়া হবেনা।
আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য আবু সাইদ চান, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য এম.কে আনোয়ার, সাবেক সংসদ সদস্য ও নির্বাহী কমিটির সদস্য সামসুল আলম প্রামানিক চারঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় বিএনপি’র সদস্য আবু সাইদ চাঁদ, বাগমারা আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফুর, জেলা বিএনপি’র সভাপতি তোফাজ্জাল হোসেন তপু, জেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মহসিন আলী, বগুড়া জেলা বিএনপি’র সিনিয়র সহ-ভাপতি আব্দুল্লাহ আল মান্নাত, জয়পুরহাট জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাফিজুর রহমান পলাশ, নওগাঁ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম , নাটোর জেলা বিএনপি’রে সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক, বগুড়া জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদিন চান, চাপাই নবাবগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সহ-সভাপতি মবিনুল রহমান মিয়া, নওহাটা পৌরসভার মেয়র শেখ মকবুল হোসেন, তানোর পৌরসভার মেয়র মিজানুর রহমান, গোমস্তাপুর উপজেলা চেয়ারম্যান বাইরুল ইসলাম, নওগাঁ পৌর মেয়র ও জেলা বিএনপি’র সভাপতি নাজমুল হক সনি, নওগাঁর সাবেক সংসদ সদস্য সালেক চৌধুরী, মহানগর বিএনপি’র সিনিয়র সহ-সভাপতি নজরুল হুদা, ।
অন্যদের মধ্যে রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সভাপতি শওকত আলী, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি,র সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির, বোয়ালিয়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক রবিউল আলম মিলু, রাজপাড়া থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আলী হোসেন, মতিহার থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন ও শাহ্ মখ্দুম থানা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মতিন। আরো উপস্থিত ছিলেন মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি ওয়ালিউল হক রানা, রাজশাহী মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন,
মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুল হাসনাইল হিকল, জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সমাপ্ত, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুসরাত রিজভি সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন, মহিলা দলের যুগ্ম আহবায়ক এ্যাডভোকেট রওশন আরা পপি, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, সহ রাজশাহী মহানগর বিএনপি, সাংগঠনিক ৩৭টি ওয়ার্ডের অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র বর্ধিত সভাটি পরিচালনা করেন মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন প্রমূখ।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে