1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রামেক হাসপাতালে রোগী বের হওয়ার গেইটে অটো স্ট্যান্ড, ভোগান্তি রোগীদের! - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:২২ পূর্বাহ্ন

রামেক হাসপাতালে রোগী বের হওয়ার গেইটে অটো স্ট্যান্ড, ভোগান্তি রোগীদের!

  • প্রকাশের সময় : বুধবার, ৫ সেপটেম্বর, ২০১৮
রামেক হাসপাতালের ভেতরের এই গেইট দিয়ে রোগীরা যাতায়াত করে। এত ছোট রাস্তা হওয়ার পরও দুই ধারে এভাবেই অটোরিক্সা ও রিক্সা দাঁড়িয়ে থাকে। তারপরও তাদের সরিয়ে দেওয়া হয় না। ছবি: খবর ২৪ ঘণ্টা

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রোগীদের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রবেশ ও বাহির হওয়ার পৃথক দুটি পথ করা হয়। একটি গেইট দিয়ে রোগীরা হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করেন ও অন্য গেট দিয়ে রোগীরা বের হন। যাতে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রবেশ করতে ও বের হতে কোন সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়। নিয়ম অনুযায়ী রোগীরা এক পথ দিয়ে প্রবেশ করেন ও অন্য পথ দিয়ে বের হন। রোগী প্রবেশের পথে জরুরী বিভাগের গেট দিয়ে প্রবেশ করলেও বের হওয়ার সময় অটোরিক্সা ও রিক্সার অলিখিত স্ট্যান্ডের কারণে বেকায়দার মধ্যে পড়তে হয়। প্রতিনিয়ত হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা হাজার হাজার রোগীকে এ সমস্যার মধ্যে পড়তে হচ্ছে। কারণ গেট দিয়ে বের হওয়ার পর রোগী চলাচলের জন্য নির্ধারিত রাস্তাটি প্রয়োজনের তুলনায় ছোট। তারপরও বাহির পথের গেট থেকে শুরু করে জরুরী বিভাগ পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশেই দাঁড়িয়ে থাকে অটোরিক্সা ও রিক্সা।

সার্বক্ষণিক রিক্সা ও অটোরিক্সা দাঁড়িয়ে থাকায় ব্যাপক ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয় হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনদের। বিশেষ করে রোগী নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে তাদের বেশি ভোগান্তির মধ্যে পড়তে হয়। গেট দিয়ে বের হওয়ার সাথে সাথেই সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা অটোরিক্সা ও রিক্সা চালকরা তাদের ঘিরে ধরে ভাড়া ধরার জন্য। এটা নিত্য দিনের দৃশ্য। এ নিয়ে চিকিৎসা নিতে আসা রোগী ও তাদের স্বজনরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অথচ বের হওয়ার গেটে এসব দেখভালের জন্য সেখানে দৈনিক মজুরী ভিক্তিক দু’জন কর্মচারী ও আনসার সদস্যের ডিউটি রয়েছে। কিন্ত তারা নামে মাত্রই দায়িত্ব পালন করেন। মাঝে মধ্যে লাঠি নিয়ে দু’একবার তাদের সরে যেতে বলেন। কিন্ত তাদের কথায় কেউ সরেনা।

অটোরিক্সা ও রিক্সা চালকরা যাত্রী না পাওয়া পর্যন্ত দাঁড়িয়ে থাকেন। অভিযোগ রয়েছে, সেখানে দায়িত্ব পালন করা কর্মচারীরা অটোরিক্সা ও রিক্সা চালকদের থেকে টাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ করে দেয়। কেউ নতুন এলে বা টাকা না দিলে দাঁড়িয়ে থাকতে দেওয়া হয়না তাদের। হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা এক রোগীর স্বজন তাসলিমা অভিযোগের সুরে বলেন, রোগীদের জন্য বাহির পথের রাস্তাটি অত্যন্ত ছোট। তারপরও সবসময় রাস্তার দুই পারে অটোরিক্সা ও রিক্সা চালকরা দাঁড়িয়ে থাকে। এতে রোগী ও তার স্বজনদের বের হতে সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। আবার অনেক সময় চলাচলকারী নারীদের উদ্দেশ্য করে খারাপ ইঙ্গিত করে দাঁড়িয়ে থাকা লোকজন। তাই এদের এখানে দাঁড়াতে না দেওয়ার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি অনুরোধ জানাচ্ছি। ফাহিমা নামের আরেক রোগীর স্বজন বলেন, অটোরিক্সা চালকরা এত ছোট রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকতে পারে কিভাবে? এখানেতো আনসার ও কর্মচারী রয়েছে। তারা কোন ব্যবস্থা নেয়না কেন? তাহলে তাদের ডিউটি কি? এরা দাঁড়িয়ে থাকায় রোগীদের ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। তাই তাড়াতাড়ি এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে এক কর্মচারী অভিযোগ করে বলেন, সামান্য কিছু টাকার বিনিময়ে সেখানে ডিউটিরত কর্মচারীরা অটোরিক্সা ও রিক্সা চালকদের দাঁড়াতে দেয়। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। রোগীদের ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়।রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড মাস্টার মোশারফ হোসেন বলেন, অটোরিক্সা ও রিক্সা চালকরা যাতে দাঁড়িয়ে থাকতে না পারে সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের যাতে দাঁড়াতে দেওয়া না হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দেওয়া আছে। বিষয়টি আমি দেখছি।

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে 

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST