রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) ভর্তি পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়েও পোষ্য কোটায় ভর্তি শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিলসহ পাঁচ দফা দাবিতে মানববন্ধন করেছে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার (১০ মার্চ) দুপুর ১২ টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ এ কর্মসূচির আয়োজন করে।
অন্য দাবিগুলো হলো, ভর্তি পরীক্ষায় প্রশাসন শুধু মনিটরিংয়ের ভূমিকা পালন করবে এবং শিক্ষার্থী ভর্তিতে প্রশাসনের অযাচিত হস্তক্ষেপ বন্ধ করতে হবে, ভর্তি পরীক্ষায় বিদ্যমান কোটা সংস্কার করতে হবে, কোটায় উত্তীর্ণ শিক্ষার্থী না পাওয়া গেলে মেধাক্রম অনুযায়ী শূণ্য আসন পূরণ করতে হবে এবং উল্লিখিত দাবিসমূহ সম্পূর্ণভাবে মানা হয়েছে এই মর্মে দ্রুত লিখিত আকারে জানাতে হবে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমরা দৈনিক ১২/১৩ ঘণ্টা পড়াশোনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ পেয়েছি। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পোষ্য কোটায় তাদের সন্তানদের ভর্তির সুযোগ করে দিচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে কোটায় ভর্তি হতে হলে ন্যূনতম পাশ নম্বর পেতে হবে। কিন্তু ন্যূনতম পাশ নম্বর না পেয়েও শুধু মাত্র কোটার জোরে এ শিক্ষার্থীদেরকে কীভাবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তির সুযোগ দিয়েছে? এটি কোনোভাবেই কাম্য নয়। হয়তো ভর্তি পরীক্ষা বন্ধ করে দিতে হবে। নতুবা এসব দুর্নীতি পরিহার করতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, রাবি হচ্ছে একনায়কতান্ত্রিক বিশ্ববিদ্যালয়। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা এটিকে রাজতান্ত্রিক বানিয়ে ফেলেছে। নিজেদের সুবিধা অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করছে তারা। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়েকে শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিতে নতুন করে বিভাগ প্রতিষ্ঠা করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য। দুর্নীতিবাজ প্রশাসনের এমন দুর্নীতি আমরা মানবো না। তারা ওই শিক্ষার্থীদের ভর্তি বাতিল না হলে কঠোর আন্দোলনের হুশিয়ারিও দেন।
সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন মাহমুদ সাকি, আমান উল্লাহ খান, হেলাল উদ্দিন, মহিউদ্দিন মানিক, নাইমুল ইসলাম প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত বছর ২১ ও ২২ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে পরীক্ষার চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করে। এতে দেখা যায় অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা পোষ্য কোটায় বিভিন্ন বিভাগে ভর্তির সুযোগ পেয়েছে। ১০০ নম্বরের এ পরীক্ষায় নূন্যতম পাশ ছিল ৪০, কিন্তু নূন্যতম পাশ নম্বর না পেলেও ভর্তি হয়েছে এসব শিক্ষার্থী। এরই প্রেক্ষিতে তাদের ভর্তি বাতিলের দাবিতে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
খবর২৪ঘন্টা/নই