আগামী সোমবার অনুষ্ঠিত হবে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের শেষকৃত্য। বিদায় জানানো হবে শেষ বারের মতো।
তার আগে ওয়েস্টমিনস্টার হলে রাখা রানির মরদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে হাজার হাজার মানুষ অপেক্ষা করছেন।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নেতারা লন্ডনে আসতে শুরু করেছেন।
রানির শেষকৃত্যে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে পাঁচ শতাধিক রাষ্ট্রপ্রধান এবং বিভিন্ন বিশিষ্ট ব্যক্তিদের। শেষকৃত্য অনুষ্ঠানে অতিথির সংখ্যা ধরা হয়েছে দুই হাজার ২০০।
অনুষ্ঠানে যোগ দিতে ইতোমধ্যে ব্রিটেন পৌঁছেছেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও ফার্স্টলেডি জিল বাইডেনও লন্ডনে অবস্থান করছেন। নিজের বিলাসবহুল লিমুজিন ‘দ্য বিস্ট’ ব্যবহারের অনুমতিও দেওয়া হয়েছে তাকে। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ব্যতীত অন্য কোনো অতিথিকে ‘ভিভিআইপি’ সেবা দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সরকার।
বিশ্ব নেতাদের মধ্যে আরও আসছেন, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ।কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, স্পেনের রাজা ফেলিপ ও রানি লেটিজিয়া। এ ছাড়াও আসবেন নরওয়ে, ডেনমার্ক, সুইডেন ও মোনাকো, জর্ডান, সার্বিয়া, রোমানিয়া, লুক্সেমবার্গ, টঙ্গা, বুলগেরিয়ার রাজা-রানিরা। আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে ইউরোপের সব রাজপরিবারকে।
বুধবার ব্রিটিশ স্থানীয় সময় বিকেল ৫টায় ওয়েস্টমিনস্টার হলে শ্রদ্ধা জানাতে রানির মরদেহ রাখা হয়। সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার দিন সকাল সাড়ে ৬টা পর্যন্ত মরদেহ সেখানে রাখা হবে।
বুধবার রাজকীয় শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দ্বিতীয় এলিজাবেথের মরদেহ বাকিংহাম প্যালেস থেকে ওয়েস্টমিনস্টার হলে নিয়ে আসা হয়। রানির জ্যেষ্ঠ সন্তান ও যুক্তরাজ্যের বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লস, তার দুই ছেলে প্রিন্স উইলিয়াম ও প্রিন্স হ্যারিসহ রাজপরিবারের সদস্যরা সেই শোভাযাত্রায় নেতৃত্ব দেন।
রয়্যাল পতাকায় মোড়া রানির কফিনের ওপরেই রাখা হয় তার মুকুট। রাস্তার দুই পাশে ছিল হাজারও মানুষের ভিড়।
গেল ৮ সেপ্টেম্বর ৯৬ বছর বয়সে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ।
সূত্র : বিবিসি