খবর২৪ঘণ্টা,ডেস্ক:ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ নির্বাচনেও (ডাকসু) ৩০ ডিসেম্বরের ভোটের ছায়া পড়েছে বলে অভিযোগ করেছেন সহসভাপতি (ভিপি) প্রার্থী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল হক নুরু। তিনি বলেন, জাতীয় নির্বাচনের মতো আগের রাতেই ব্যালটে সিল মেরে রাখা হয়েছে।
সোমবার সকালে কুয়েত মৈত্রী হলে গিয়ে সিল মারা ব্যালট দেখিয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিশ্ববিদ্যায়ের বর্তমান প্রশাসনকে দলকানা বলে মন্তব্য করে কোটা সংস্কার আন্দোলনের এ নেতা বলেন, এই প্রশাসনের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।
হাতে থাকা কয়েকটি জালভোটের ব্যালট পেপার দেখিয়ে তিনি বলেন, এই যে দেখুন কুয়েত মৈত্রী হলে জাতীয় নির্বাচনের মতো আগের রাতে ব্যালটে সিল মেরে রাখা হয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, ছেলেদের হলগুলোতে এমন বিশৃঙ্খলা অবস্থায় রাখা হয়েছে যে, কে ভোট দিয়েছে বা কে দেয়নি তা শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সকালে রোকেয়া হলে প্রার্থী ও সাংবাদিকদের ঢুকতে দেয়া হয়নি। এর পর শহিদুল্লাহ হল, এসএম হলে গিয়েছিলাম। সেখানে আমরা দেখেছি ছাত্রলীগের নিয়ন্ত্রণে যেসব গেস্টরুম, হলরুম রয়েছে, সেখানে তাদের অপরিচিত মুখকে ঢুকতে দেয়া হচ্ছে না। এসব গণরুম, গেস্টরুমে যারা থাকেন, তাদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে।
যারা ভোট দিয়ে এসেছেন, তাদেরই আবার ভোটারদের লাইনে দাঁড় করিয়ে দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি বলেন, এসব কর্মীকে নির্দেশ দেয়া হচ্ছে যে, প্রতিটি ভোটের জন্য তারা যেন ১০-১৫ মিনিট সময় নষ্ট করে আসেন।
সাধারণ শিক্ষার্থীরা যেন ভোট দিতে না পারে বা বিরক্ত হয়ে চলে যায় এমন পরিকল্পনাতেই এসব করা হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
প্রশাসনের কাছে এসব অভিযোগ বিষয়ে কথা বলেছেন কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, প্রশাসন একটি মেরুদ-হীন দলকানা, যাদের কাছে ছাত্র ও বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বার্থের চেয়ে দলীয় লেজুড়বৃত্তির রাজনীতিটাই বড়।
এ সময় তিনি বলেন, আমাদের ও সাংবাদিকদের চলাচল নিয়ন্ত্রণ করে তারা বহিরাগতদের জন্য চলাচল উন্মুক্ত করে দিয়েছে।
ঢাকা কলেজের ছাত্রদেরও আজ বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে দেখা গেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
প্রশাসনের কাছে এসব অভিযোগ করেও কোনোরকম ব্যবস্থা পাননি বলে জানান নুরু।
এতসব অভিযোগের পর পরবর্তী পদক্ষেপ কী এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমরা আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষা করব। এ নির্বাচনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র সংগঠনগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
খবর ২৪ঘণ্টা/ জেএন