1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে বিনা চাষে ধান চাষে সফলতা - খবর ২৪ ঘণ্টা
শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০৩:৪৭ অপরাহ্ন

রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চলে বিনা চাষে ধান চাষে সফলতা

  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক :
এবারের বর্ষা মৌসুমে রাজশাহীর বরেন্দ্র অঞ্চল খ্যাত গোদাগাড়ীতে রোপা আমন ধানের চাষ হয় ব্যপকহারে। চলতি মৌসুমে রাজশাহীতে রোপা আমন ধান চাষের লক্ষমাত্রা ছিলো ৭২ হাজার হেক্টর জমিতে। কিন্তু চাষ হয়েছে ৭৬ হাজার হেক্টর জমিতে বলে জানান রাজশাহী কৃষি সম্প্রাসরন অধিদপ্তর খামারবাড়ির অতিরিক্ত পরিচালক মাহমুদুল ফারুক। তিনি বলেন, রাজশাহীর মধ্যে গোদাগাড়ীতে শুধুমাত্র ১ হেক্টর জমিতে পরীক্ষামূলক ভাবে বিনা চাষে রোপা আমন ধান চাষ করা হয়। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এই পদ্ধতিতে বরেন্দ্র অঞ্চলে অত্যন্ত সাহস নিয়ে এই ধানের চাষ করা হয়। কৃষকরা প্রথমে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে নিরুৎসাহী হন। পরে গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম ও পাকড়ী ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার জালাল উদ্দিন দেওয়ানের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং কৃষককে ক্ষতিপুরন দেওয়ার প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করা হয় বলে জানান তিনি।

গোদাগাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শফিকুল ইসলাম এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করে ধান কেটে ঘরে তুলতে মাত্র তিন থেকে সাড়ে সময় লাগে। আর পদ্ধতিতে খরচ অনেক কম এবং জমির মাটির গুণগত মান ভাল থাকে। এছাড়াও ফলন বেশী হয়। সার বীজ ও কীটনাশক কম লাগায় কুষকরা র্অফ খরচে এই পদ্ধতিতে ধানের চাষ করতে পারবেন। আসছে মৌসুমে বিনাচাষ পদ্ধতিতে ধানের চাষ আরো বৃদ্ধি করার জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ ও কৃষকদের সচেতন করে তোলা হবে বলে জানান এই কর্মকর্তা। ধানের ফলন দেখে আসছে রবি মৌসুমে ১০০ বিঘার উপরে বরেন্দ্রতে বিনা চাষে ধান চাষ করা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। উপসহকারী কৃষি অফিসার জালাল বলেন, বরেন্দ্র মাটি যেহেতেু শুস্ক এবং রুক্ষ সেইজন্য কৃষকরা প্রথমে এই পদ্ধতি গ্রহন করতে রাজি হননি। পরে তাঁর এবং কৃষি কর্মকর্তার প্রতিশ্রুতির কারনে কৃষকরা এই পদ্ধতিতে ধানের চাষ করেন।এছাড়াও তিনি সর্বদা কৃষকের সঙ্গে লেগে থেকে এই বিনাচাষ পদ্ধতিতে ধানের চাষ করে সফলতা পেয়েছেন বলে জানান। জালাল বলেন, এই পদ্ধতিতে চাষের ফলে ধানের গাছে পোকা মাকড় ও রোগবালাইয়ের আক্রমন নাই বললেই চলে। তবে তিনি সার্বক্ষণিক এই জমির উপর তিনি নজর রাখেন। আগামীতে আরো ব্যাপকভাবে বরেন্দ্র অঞ্চলে বিনা চাষে বিভিন্ন জাতের ধানের চাষ করা হবে বলে জানান তিনি।

গোদাগাড়ী উপজেলার পাকড়ী ইউনিয়নের রাজারামপুর গ্রামের কৃষক নওশেদ আলী বলেন, তিনি মাত্র ১বিঘা জমিতে বিনা চাষে ব্রি-ধান ৫২এর চাষ করেন। প্রথমে পাকড়ী ব্লকের উপসহকারী কৃষি অফিসার জালাল উদ্দিন বিনা চাষে ধান চাষ করতে বললে তিনি তার কথা বিশ্বাস করেননি। কারণ হিসেবে তিনি জানান বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটি অত্যন্ত রুক্ষ। এমাঠে কোনদিন বন্যার পানি প্রবেশ করেনা। এই অবস্থায় বিনা চাষে বরেন্দ্র অঞ্চলের মাটিতে ধান চাষ করা সম্ভব নয় বলে তিনি প্রথমে রাজি হননি। পরে উপজেলা কৃষি অফিসার শফিকুল ইসলাম, স্থানীয় কৃষক জাইদুর এবং জালাল উদ্দিনের আশ্বাসের প্রেক্ষিতে তিনি এই পদ্ধতিতে ধান চাষ করতে রাজি হন। এই পদ্ধতিতে ধান করে তিনি লাভবান হয়েছেন। সব মিলিয়ে তিনি মাত্র ২৫০০ (দুই হাজার পাঁচশত) টাকা ব্যয় করে ২৪মন শুকনা ধান

গৃহে তুলেছেন বলে জানান এই কৃষক। চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে চাইলে হাকিম আরো বলেন, বৃষ্টি শুরু হওয়ার পুর্বে জমির আগাছা পরিস্কার করেছিলেন। পরে জুলাই মাসে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টি শুরু হলে তিনি জমিতে শুধুমাত্র মই দিয়ে মাটি সমান করে রাইস ট্রান্স প্লান্টার মেশিনের সাহায্যে তিনি জমিতে চারা রোপন করেন। চারার বয়স ছিল তখন মাত্র ১৫-১৬দিন। রাজরামপুরের কৃষক জাইদুর বলেন, বিনা চাষে ধানের চাষ করতে হলে ট্রে বা পলেথিনে করে ধারে চারা তৈরী করতে হবে। এই চারা ১৫-১৬ দিনে দিনের মধ্যে জমিতে রোপন করতে পারলে মাটিতে এই চারাগুলো দ্রুত বসে যেতে সক্ষম হয় এবং আরো দ্রুত কুশি ছড়াতে থাকে। এইভাবে ধানের গোছা মোটা হয় এবং ফলনও ভাল হয়। কৃষক হাকিমের জমিতে নিজেই রাইস ট্রান্স প্লান্টার দিয়ে ধানের চারা রোপন করে দিয়েছিলেন বলে জানান জাইদুর।

খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By Khobor24ghonta Team