নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী মহানগরীর বড়কুঠি ও টি বাঁধ সংলগ্ন পদ্মার চরে মাদকের রমরমা ব্যবসা চলছে। আর এ সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু মাঝি নামক মাদকব্যবায়ীদের সহযোগি কামিয়ে নিচ্ছেন অর্থ। প্রতিদিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এমন আসর চললেও কেউ আইনের ধরা ছোঁয়ার মধ্যে আসছেনা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, চরের মাদক ব্যবসায়ীরা পদ্মার চরে নিরাপদে মাদক ব্যবসা করছে। কারণ সেখানে পুলিশেল আটক এড়ানো যায়। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিয়েই তারা এমন কাজ করছে। আর নগরীর দিক থেকে মাঝি ফেন্সিডিল সহ অন্যান্য মাদক দ্রব্য নিরাপদ ব্যবসার স্থান মনে করে মাঝি এবং তাদের নিজেদের ব্যবসার সঙ্গির মাধ্যমে নৌকায় করে পদ্মার চরে নিয়ে যায়। আর মাদকসেবীরা বেড়ানোর নাম করে পদ্মার চরে গিয়ে মাদক সেবন করে আসছে। তবে সব নৌকার মাঝি যে মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত তা নয়। তারা শুধু টাকার বিনিময়ে নির্ধারিত স্থানে নিয়ে যায়।
যারা মাদক ব্যবসায়ীদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলে তারা জনপ্রতি একশত টাকা পায়। কোন কোন ক্ষোত্রে আরো বেশি টাকা পায় বলে খবর পাওয়া গেছে।
পপদ্মার চরে ফেনসিডিল, গাঁজা, য়াবা সব মাদক পাওয়া যায়। অনেক সময় নৌকায় বসেই ফেনসিডিল কিনে নিয়ে আসে। এভাবে চলে মাদকের বাণিজ্য। শুধু ফেনসিডিল নয়, গাঁজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের চালান আসছে প্রতিনিয়ত বলে সূত্রে জানা গেছে।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, পদ্মার চরে যারা থাকে তারা মাদক ব্যবসা করছে মাঝিদের সহযোগিতায়। মাঝিরা টাকার বিনিময়ে মাদক ব্যবসায় সহায়তা করছে। মাদকসেবীরা নিরাপদে মাদক সেবন করে আসছে। শুধু তাই এ পথ দিয়ে মাদকের চালানও যায় বলে তারা দাবি করেন।
এ বিষয়ে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র সিনিয়র সহকারি পুলিশ কমিশনার (সদর ও ট্রাফিক) ইফতে খায়ের আলম খবর২৪ঘণ্টাকে বলেন, মাদক ব্যবসায়ীরা যাতে ব্যবসা পরিচালনা করতে না পারে সেজন্য পুলিশের নজরদারির জন্য থানা পুলিশকে নির্দেশনা দেওয়া আছে। মাদক ব্যবসা পরিচালনা কোন সুযোগ নেই। খোঁজ নিয়ে আইনের আওতায় নিয়ে আসা মাদক ব্যবসায় সহায়তাকারীদের।
খবর২৪ঘণ্টা/এমকে