নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহী গত ১৪ মাসে ১৬৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ৮ মার্চ আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে লফস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাস থেকে ২০১৯ সালের ফেব্রুয়ারী মাস পর্যন্ত ১৬৪ জন নারী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে হত্যা নারী ১৭ জন, হত্যার চেষ্টা ৩ জন, আত্মহত্যা নারী ৩২ জন, আত্মহত্যার চেষ্টা নারী ৩ জন, ধর্ষণ ১১ জন, গণধর্ষণ ৩ জন, ধর্ষণ চেষ্টা ৩ জন, যৌন নির্যাতন ১৫ জন, নির্যাতন নারী ৬৮ জন, ভিকটিম অফ পর্নোগ্রাফী নারী ৪ জন, অপহরণ ৩ জন ও নিখোঁজ ২ জন। সংস্থা থেকে আরো দাবি করা হয়েছে,
এক গবেষনায় জানা গেছে প্রায় ৭২.৬% শতাংশ নারী জীবনে একবার হলেও স্বামীর হাতে কোনো না সময়ে নির্যাতনের শিকার হয়েছে। ধর্ষণের শিকারদের ৮৬% শিশু-কিশোর। ধর্ষণজনিত হত্যার শিকার হয়েছে প্রায় দুই-তৃতীয় শিশু-কিশোর। যাত্রাপথে যৌননির্যাতন, ধর্ষণ ও গণধর্ষণের মতো ঘটনা ঘটছে অহরহ। পাশাপাশি বিশ^ স্বাস্থ সংস্থার তথ্য অনুযায়ী বাংলাদেশে পুরুষের তুলনায় নারীদে আত্বহত্যার সংখ্যা বেশি। এদের বয়স ১৪-৩০ এর মধ্যে। এক সমীক্ষায় উঠে এসছে রাজশাহী অঞ্চলে আত্বহত্যার প্রবনতা বাড়ছে। গত বছর বেসরকারী উন্নয়ন সংস্থা ব্রাকের এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, গণপরিবহনে চলাচলকারী নারীদের ৯৪ শতাংশ কোনো না কোন সময় মৌখিক, শারীরিক ও যৌন হয়রানির শিকার
হয়েছে। লফস আরো জানায় তারা সমাজের বিভিন্ন শ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে, পারিবারিক কলহ, প্রেম ঘটিত কারনে হত্যা ও আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটছে। ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের মতো ঘৃনিত অপরাধ ঘটছে অহরহ যা প্রতিরোধের কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। একই ভাবে যৌতুক ও বাল্যবিবাহ’র ফলে নারীরা প্রতি নিয়ত নির্যাতিত হচ্ছে এর ফলে সংসারে ভাঙ্গন দেখা দিচ্ছে, আত্মহত্যার ঘটনা ঘটছে। অনেক ক্ষেত্রে পরকীয়া প্রেম নারীর জীবনকে দূর্বিষহ করে তুলছে। নারী নির্যাতন প্রতিরোধে সমাজের বিবেকবান সু-পুরুষদের অধিক সচেতন হওয়া প্রয়োজন বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। পাশাপাশি নারীদের নির্ভয়ে প্রতিবাদ ও আইনী সহায়তা গ্রহন করা উচিৎ। সমাজের অপরাধ প্রবনতা কমাতে দ্রুত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা ও শাস্তি নিশ্চিত করায় নারী দিবসের সোচ্চার আহ্বান জানানো হয়। এরমধ্যে
খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস