নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহী মহানগর বিএনপি আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা স্বৈরাচার ও ফ্যাসিষ্ট সরকারের দোশর সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ার দিয়ে বলেন, যারা বিগত সময়ে ফ্যাসিস্ট সরকারের সাথে থেকে স্বৈরাচারী হবার জন্য সরকারকে সহযোগিতা করেছে তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি উপস্থিত গণমাধ্যম কর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারাও ফ্যাসিস্ট সরকারের সমর্থক সাংবাদিকদের তালিকা করুন, তাদের বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ভাবে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থার দ্বিবার্ষিক নির্বাচন প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ইশা আরও বলেন সাংবাদিকতার নামে অপসংবাদিকতা ধারা এখনোও চলছে। মিথ্যা তথ্য দিয়ে ব্যক্তি থেকে শুরু করে দলীয় পর্যায়ে প্রোপাগান্ডা ছড়ানো হচ্ছে। এ সময় তিনি একটি সংবাদ এর কাটিং উল্লেখ করে বলেন মিথ্যা সংবাদের প্রকাশ করার কারণে দৈনিক আমাদের সময় পত্রিকার প্রতিবেদক জিয়াউল গনি সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। প্রতিবেদক ইতিহাস না জেনেই এবং প্রকৃত না যাচাই-বাছাই না করেই একটি পক্ষের হয়ে রাজশাহী মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয় সম্পর্কে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বানোট সংবাদ প্রকাশ করেছেন। যা সাংবাদিকতার কোন ইথিক্সের মধ্যে পড়ে না। এ ধরনের অপসংবাদিকতা রোধ করতে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হবে। আর আপনারা এসব অপসাংবাদিকদের সাথ দিবেনা বা মানববন্ধন করবেননা। আপনারাও অপসংবাদিকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হোন।
অনুষ্ঠানে রাজশাহী সিনিয়র ও ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে নির্যাতিত কারাবরণকারী সাংবাদিক এবং রাজশাহী প্রেসক্লাবের সভাপতি নজরুল ইসলাম জুলু বলেন, স্বৈরাচার ফ্যাসিষ্ট সরকারের সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে বিএনপি-জামাত যেন নিশ্চুপ হয়ে আছেন। এসব সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে কোন ধরনের ব্যবস্থা নিচ্ছেনা জামায়াতে ইসলামী অথবা বিএনপি। আবার রাজনৈতিক দলের সুস্পষ্ট বক্তব্যও নেই। বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন রঙে তারা একটি ছত্রছায়ায় একত্রিত হয়ে ষড়যন্ত্র করছে। তিনি কথিত সাংবাদিকদের বিষয়ে সকল রাজনৈতিক এবং গণমাধ্যম কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, রাজনৈতিক পরিচয়ে কোন ব্যক্তি যদি আইডি কার্ড পায় তবে সে সাংবাদিক হয়ে যায়না। রাজনীতি এবং সাংবাদিকতাকে আলাদা স্থানে রাখতে হবে। পাশাপাশি স্বৈরাচার দোসর সাংবাদিকদের প্রতিহত করতে হবে।
নির্যাতিত এই সিনিয়র সাংবাদিক আরোও বলেন একটি পক্ষ আওয়াজ তুলেছেন সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। কিন্তু এটা তাদের ষড়যন্ত্র, প্রহসনমূলক এবং মানুষকে বিভ্রান্ত করার অপপ্রয়াস মাত্র। কারণ রাজশাহী মহানগরীর আইনশৃঙ্খলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যখন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয়ে আইন-শৃঙ্খলা মিটিং এ তথ্য উপাত্ত দিয়ে বক্তব্য রাখি তখন পুলিশ কমিশনার ব্যক্তিগতভাবে আমাকে আক্রমণ শুরু করেন। এরই জের ধরে আমরা পুলিশ কমিশনারের প্রত্যাহার চাইলাম। কিন্তু নগরীর কথিত স্বৈরাচার সাংবাদিকরা চুপ থেকেছেন এমনকি ন্যায্য কথা বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে নিজেদের বাঁচাতে পুলিশ কমিশনারের তোশামদি শুরু করেছেন। যা আমাদের জন্য যেমন লজ্জাজনক তেমনি এ সরকারের প্রতি একটি এলার্মিং বার্তা বটে।
বাংলাদেশ সাংবাদিক সংস্থা রাজশাহী জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক নির্বাচন অনুষ্ঠানে অন্যন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রচার ও মিডিয়া সম্পাদক আশরাফুল আলম ইমন, রাজশাহী প্রেসক্লাবের সেক্রেটারী শাহ্ সুফি মহিব্বুল আরেফিন, সিনিয়র সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটন,আবু সালেহ্ মোঃ ফাত্তাহ প্রমূখ।
বিএ..