প্রেস বিজ্ঞপ্তি : রাজশাহীতে স্বেচ্ছাসেবক দল আয়োজিত এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, দেশে আজ গণতন্ত্র ও আইনের শাসন বলতে কিছু নেই। তারা বলেন, কোন বিষয় নিয়ে প্রতিবাদ জানানো মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু এই সরকার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মাধ্যমে মানুষের সে অধিকার কেড়ে নিয়েছে। এজন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মাধ্যমে এদেশে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
১৯৮৪ সালের ২২ ডিসেম্বর রাকসুর তৎকালীন ভিপি ও বিএনপির বর্তমান সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর ওপর গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা চেষ্টার ৩৩তম বর্ষে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনায় গতকাল শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর একটি মিলনায়তনে জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দল রাজশাহী মহানগর শাখা আয়োজিত অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন।
রাজশাহী মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নম্বর যুগ্ম আহবায়ক নুসরাত এলাহী রিজভীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন রাজশাহী মহানগর বিএনপির এক নম্বর যুগ্ম সম্পাদক মামুন অর রশিদ মামুন। এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা শেখ শরিফ উদ্দিন, লিটন আলী, আবু সাঈদ, জেলা ছাত্রদলের সিনিয়র সহসভাপতি শাহরিয়ার আমিন বিপুল, মিতু, ইকবাল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে রুহুল কবির রিজভীর সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করে দোয়া করা হয়।
এতে সভাপতির বক্তব্যে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা নুসরাত এলাহী রিজভী বলেন, ১৯৮৪ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে গুরুতর আহত হন তৎকালীন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র সংসদের ভিপি রুহুল কবির রিজভী। ওই সময়ে তিনি মেরুদণ্ড ও পাকস্থলীতে আঘাত পান। তিনি বলেন, রুহুল কবির রিজভী বর্তমানে গণমানুষের নেতা। ভয়ভীতি দেখিয়ে এবং গ্রেফতার-নির্যাতন চালিয়ে তাকে রাজনীতি থেকে দূরে রাখা যাবে না। মানুষের ভালোবাসায় তিনি সবার হৃদয়ে থাকবেন।