সর্বাত্মক লকডাউন শুরু হওয়ার যানবাহন না পেয়ে পায়ে হেঁটেই গন্তব্যের উদ্দেশ্যে যেতে দেখা যায় সাধারণ মানুষকে। আজ ১১ জুন শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পরও মানুষকে চলতে দেখা যায়। তবে রাস্তায় কোনো ধরনের ছোটখাটো যানবাহন না থাকার কারণে মানুষ হেঁটে নিজ নিজ গন্তব্যে যায়। এছাড়াও দূর-দুরান্ত থেকে রাজশাহী ফেরা মানুষকেও দেখা যায় ব্যাগ কাঁধে করে ফিরতে।
জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলা রাজশাহী মহানগরীতে হঠাৎ করে করোনা ভাইরাস সংক্রমণ ও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর হার বেড়ে যায়। সংক্রমণের বিস্তার রোধ ঠেকাতে অপ্রয়োজনে বাইরে বের হওয়া মানুষকে ঘরে ফেরাতে রাজশাহীর স্থানীয় প্রশাসনের যৌথ সভায় ৭ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়। শুক্রবার বিকেল ৫টা থেকে শুরু হওয়া লকডাউন ১৭ জুন মধ্যরাতে শেষ হবে। লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে তৎপর ঠিল প্রশাসন। এ কারণে বিকেল ৫টার পর থেকেই রাস্তাঘাটে যানবাহন ও মানুষের সংখ্যা কমতে থাকে। পুলিশি তৎপরতায় মার্কেট ও দোকানপাটও বন্ধ হয়ে যায়।
কিছু দূর থেকে আসা বা বাইরে কাজে আটকা পড়া মানুষ থাকলেও তারা যানবাহন না পেয়ে হেঁটেই নিজ নিজ গন্তব্যে যান। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে নগরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। কোনো কোনো স্থানে আবার ছোটো ব্যাটারি চালিত রিক্সায় ৪/৫ জন চড়তে দেখা গেছে। উল্লেখ্য, এবার সর্বাত্মক লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কঠোর অবস্থানে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পাড়া-মহল্লার মধ্যেও দোকানপাট খোলা রাখতে দেয়া হচ্ছে না। তবে জরুরী সেবা এ লকডাউন আওতার বাইরে রয়েছে।
এস/আর