ওমর ফারুক, রাজশাহী:
আত্মশুদ্ধি ও আল্লাহর নৈকট্য অর্জনের মাস পবিত্র মাহে রমজানে ১০ টাকা গ্লাসের আখের রসের দাম বেড়ে হয়েছে ১৫ টাকা। বর্তমানে রাজশাহী মহানগরীতে ১৫ টাকা গ্লাস বিক্রি করা হচ্ছে আখের রস। অথচ রোজার প্রথম দু’দিনেও আখের রস গ্লাস প্রতি দাম ১০ ছিল ১০ টাকা। রমজানে এর চাহিদা বেশি হওয়ায় বিক্রেতারা নিজের ইচ্ছামত দাম বাঁড়িয়ে দিয়েছেন। সারাদিন রোজা রেখে আখের ঠান্ডা রসে গলাটা একটু ভিজিয়ে নিতে আখের রস খাচ্ছেন রোজাদাররা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর বাজারগুলোতে দীর্ঘদিন ধরেই আখের রস প্রতি গ্লাস ১০টাকায় বিক্রি হয়ে আসছিলো। নগরীর সাহেব বাজার, গণকপাড়া, সোনাদিঘীর মোড়, লক্ষীপুর, গোরহাঙ্গা, রেলগেট, টার্মিনাল, ভদ্রা,
নওদাপাড়া, কোর্ট স্টেশন বাজার, তালাইমারী ও শালবাগান এবং বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় আখের রস ১০ টাকা গ্লাস বিক্রি হচ্ছিলো। এমনকি রমজানের প্রথম দুই দিনও আখের রস ১০ টাকা গ্লাস বিক্রি হয়েছে। তৃতীয় দিন থেকে আখের দাম বেড়ে যাওয়ার অজুহাত দেখিয়ে কোনো কারণ ছাড়াই নিজ ইচ্ছাতে বিক্রেতার আখের রসের দাম বাড়িয়ে ১৫ টাকা গ্লাস করে। রোজাদার ক্রেতারা বাধ্য হয়েই ১৫ টাকা গ্লাস আখের রস কেনেন। ক্রেতাদের চাহিদাকে পুঁজি করেই বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে দেন। দাম বাড়ার পরেও আখের রস ক্রেতারা লাইন ধরে কিনছেন। নগরীর বাজারগুলো ঘুরে এমন চিত্রই দেখা দেখা গেছে। রাজশাহী জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজার মনিটরিং করা হলেও এসব রস বিক্রেতারা
ধরা ছোঁয়ার বাইরেই থেকে যাচ্ছেন। এদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থায় নেওয়া যাচ্ছে না।
নগরীর কোর্ট স্টেশন বাজারে আখের রস কিনতে আসা এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি অভিযোগ করে বলেন, রোজার মধ্যেও রস প্রতি গ্লাস বিক্রি হয়েছে ১০ টাকায়। কিন্ত রোজায় এর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বিক্রেতারা ইচ্ছামত দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন। প্রশাসনের উচিত এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা। যাতে অন্য ব্যবসায়ীরা দাম না বাড়ানোর সাহস পায়। আরেক ক্রেতা অভিযোগ করে বলেন, শুধু আখের রস নয় রোজাদাররা খায় এমন প্রায় প্রত্যেক জিনিসের দামই বাড়ানো হয়েছে। বাজার মনিটরিংয়ে আরো কঠোর হওয়া উচিত প্রশাসনের। তবে আখের রস বিক্রেতারা নিজ ইচ্ছাতেই দাম বাড়ানোর কথা অস্বীকার করে বলেন, আখের দাম বেড়ে যাওয়া রসের দামও বাড়ানো হয়েছে।
আর/এস