আজ রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এবছরের রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা।
তবে আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায় স্পর্শ করেছে ৪১ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বৃহস্পতিবার ( ১৩ এপ্রিল) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ দশমিক ৬ ডিগ্রি রেকর্ড হয় বলে জানিয়েছেন রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের পর্যেবক্ষক ।
তিনি বলেন, গতকাল বুধবার রাজশাহীর সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৯ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগের দিন মঙ্গলবার ছিল ৩৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বৃষ্টি না হলে তাপমাত্রা আরও ছাড়িয়ে যাবার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।
পদ্মাপাড়ের শহরটি তীব্র তাপদাহে পুড়ছে এখন। পবিত্র রমজানে এমন তাপদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে মানুষের। ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্তি পাওয়া যাচ্ছে না গরমের কারণে।
মাঝে মাঝেই বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে এ গরমকে আরো অসহনীয় করে তুলেছে। মানুষ রীতিমতো অস্থির। রোদ থেকে বাঁচতে ঘর থেকে রাস্তায় বের হচ্ছেন না অনেকে। তবে রোদের আগুনকে উপেক্ষা করে ঈদের কেনাকাটাসহ প্রয়োজনীয় কাজ করতে বাইরে বের হতেই হচ্ছে অনেককে।
এখন এক পশলা বৃষ্টির আশায় চাতকের ন্যায় আকাশের পানে চেয়ে আছেন রাজশাহীবাসী।
তীব্র তাপদাহে সবচেয়ে বেশি কষ্টে আছেন শ্রমজীবী, দিনে এনে দিনে খাওয়া মানুষেরা। এই তীব্র তাপদাহ সহ্য করে তাদের রাস্তায় নামতে হচ্ছেই। না হলে উননে আগুন জ্বলবে না।
তীব্র গরমে কাজ করতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষ। একটু প্রশান্তি পেতে অনেকে ঘর ছেড়ে বাগানে গাছের নিচে আশ্রয় নিচ্ছেন। রিকশাচালকেরাও বসে জিরিয়ে নিচ্ছেন গাছতলায়।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যেবক্ষক কামাল উদ্দিন জানান, সাধারণত ৫ এপ্রিলের পর শুরু হয় তাপপ্রাবাহ। এবার পর্যাপ্ত বৃষ্টি না হওয়ার কারণে তাপপ্রাবহ দীর্ঘায়িত হচ্ছে। এসপ্তাহের মধ্যে বৃষ্টির কোন পূর্বাভাসও নেই। বৃষ্টির জন্য রাজশাহীবাসীকে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হতে পারে বলে জানান তিনি।
বিএ..