বিশেষ প্রতিনিধি :
রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলয়া ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে আমের মুকুলের ক্ষতি হয়েছে। মশরি ও আলুর তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। বুধবার সকাল ও বিকেলে দু’দফায় বৃষ্টিপাত হয়। হঠাৎ ভারী বৃষ্টি হওয়ায় আমের মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কায় কৃষকরা চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। তবে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে। আম চাষীদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ বৃহস্পতিবার থেকে রোদ উঠলে ও স্প্রে করলে ক্ষতি কম হবে। তবে যেসব আমের মুকুল পুরোপুরিভাবে ফুটে গেছে সেসব মুকুলের ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা আছে। আমের মুকুল ছাড়া অন্যান্য ফসলের তেমন কোনো ক্ষতি হবেনা বলে জানানো হয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বুধবার সকাল থেকেই রাজশাহী মহানগর ও আশেপাশের উপজেলার আকাশে ঘন কালো মেঘ জমতে থাকে। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সেই মেঘ আরো ভারী হয়ে বৃষ্টিপাত হয়। সকালে কিছুক্ষণের মধ্যে বৃষ্টি ছেড়ে গেলেও তারপর থেকে আকাশ মেঘলা ছিলো। দুপুর আড়াইটার পর থেকে আবারো রাজশাহীর
আকাশে ঘন কালো মেঘ জমতে থাকে। বিকেল ৩টার দিক থেকে ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। নগরীতে বৃষ্টির পরিমাণ কম হলেও আশেপাশের উপজেলায় ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে। এতে অনেক আমের মুকুল ঝরে গেছে। শুধু আমের মুকুল নয় মশরি ও আলু ক্ষেতে পানি জমে গেছে। এ কারণে আম চাষী ও কৃষকরা চিন্তার মধ্যে পড়েছেন। বৃষ্টির পর থেকে রাজশাহীর আবহাওয়া শীতল হয়ে গেছে। ঠান্ডা বাতাস বইতে শুরু করে। রাজশাহীর পবা উপজেলার সায়ির নামের এক আম চাষী বলেন, আমার আম বাগানের গাছে অনেক মুকুল ধরেছিল। ভারী বৃষ্টির কারণে অনেক মুকুল ঝরে গেছে। মুকুলের ক্ষতিও হতে পারে। তানোর উপজেলার লায়েব নামের এক কৃষক বলেন, আমার মশারি ও আলু ক্ষেতে পানি জমে গেছে। দ্রত আলু তুলতে না পারলে আলু পচে যাবে। মশারির ক্ষেতে পানি জমে আছে। মশারিরও ক্ষতি হতে পারে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামছুল হক বলেন, বৃষ্টিতে যেসব আমের মুকুল পুরোপুরি ফুটে গেছে সেসব মুকুলের কিছুটা ক্ষতি হতে পারে।
কৃষকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই বৃহস্পতিবার থেকে রোদ উঠলে ক্ষতি কম হবে। কৃষকদের মুকুলে স্প্রে করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আমের কাঙ্খিত ফলনের জন্য যত মুকুল আসে তত সব মুকুলের প্রয়োজন হয় না। অর্ধেক মুকুল থাকলেও আমের ফলন ভালো হবে। এই ক্ষতিতে ফলনের উপর কোনো প্রভাব পড়বে না। মশরি ও আলুর কোনো ক্ষতি হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আলু দ্রুত তুলে নিলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা নেই। মশারির জমিতে পানি জমে থাকলে কিছু ক্ষতি হতে পারে।রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার রাজশাহীতে ১৬ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এদিন সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৮ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টা বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৮ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আরএস