রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে পুলিশের বিশেষ অভিযানে বিপুল পরিমাণ হেরোইন, ফেন্সিডিল, নগদ টাকা এবং স্বর্ণালংকারসহ মাদক সম্রাট জিয়ারুল ইসলাম গ্রেপ্তার হয়েছে।
সোমবার (১৯জুন) রাত পৌনে ৪টার দিকে গোদাগাড়ী পৌর এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের কসাইপাড়া আচুয়াভাটা গ্রাম থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই এলাকার মৃত আব্দুল লতিফের ছেলে।
রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানানো হয়।
জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গোদাগাড়ী সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার সোহেল রানা ও গোদাগাড়ী মডেল থানার ওসি কামরুল ইসলামের নেতৃত্বে জিয়রুল ইসলামের বাসায় অভিযান চালানো হয়। অভিযানের প্রাথমিক পর্যায়ে জিয়ারুলের বাড়ী থেকে তল্লাশি চালিয়ে ৫০০ গ্রাম হেরোইন উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের কাছে পূর্বে তথ্য ছিলো বিপুল পরিমান মাদকদ্রব্য বাসায় মজুদ আছে। পরে অধিক তল্লাশি চালিয়ে বাড়ীতে কাপড় দিয়ে ঢেকে রাখা ভল্ট পাওয়া যায়। ভল্টের চাবির জন্য অনুরোধা করা হলেও জিয়ারুল চাবি না দেয়ায় ফায়ার সার্ভিসের দলকে ডেকে প্রায় ২ ঘন্টা চেষ্টা করে ভল্ট ভেঙ্গে ভেতরে রাখা ৭ কেজি হেরোইন, ২৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা, ২৫ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধারকৃত হেরোইনের মূল্য আনুমানিক সাড়ে সাত কোটি টাকা এবং উদ্ধারকৃত স্বর্ণলংকারের মূল্য প্রায় বিশ লাখ টাকা। উদ্ধারকৃত মোট মালামালের মূল্য ৭কোটি ৯৫ লাখ টাকা।
পুলিশ সুপার আরো জানান, সে পুলিশের তালিকাভূক্ত মাদক ব্যবসায়ী । তার নামে পূর্বের একটি হেরোইন মামলা রয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে মাদক সম্রাট জিয়ারুল পুলিশকে জানিয়েছে সে একটি বড় চক্রের সাথে জড়িত হয়ে দীর্ঘদিন ধরে হেরোইনের ব্যবসা করে আসছে। তার সাথে স্থানীয় রাজনৈতিক ও প্রভাবশালী লোক জড়িত আছে। তারা সীমান্ত থেকে বাহকের মাধ্যমে হেরোইন এনে বাড়ীতে মজুদ করে। সুবিধামত সময়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করে।
এ ব্যবসা করে সে এবং তার সহযোগিরা বিপুল পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়েছে। শুধু মাত্র মাদক ব্যবসা করার জন্য টাকা, স্বর্ণ এবং হেরোইন নিরপদে হেফাজত করার জন্য তিন বছর আগে লক্ষাধিক টাকা খরচ করে ভল্টটি বাড়ীতে রাখে।
এই ব্যবসার সাথে জড়িত প্রভাবশালীদের তথ্য যাদের পাওয়া গেছে তাদের সত্যতা যাচাই করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানান।
বিএ/