নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজশাহীর মোহনপুরে নিখোঁজের পাঁচ দিন পর গত ১৮ স্বেপ্টেম্বর মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার তৎপরতায় একই থানাধীন মৌগাছি এলাকা থেকে মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রোখসানা খাতুন (১৬) কে উদ্ধার করা হয়। রোকসানা মোহনপুর আলিম মাদ্রাসার ৯ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এসময় পুলিশ রেফাজুল সরদার নামের একজনকে আটক করে। এ ব্যাপারে মোহনপুর থানায় মাদ্রাসা শিক্ষার্থী রোখসানা খাতুনের মা মমতাজ বেগম বাদী হয়ে বিবাহের প্রলোভন দিয়ে অপহরন ও সহায়তার অভিযোগে দুইজনকে আসামী করে মামলা দায়ের
করেন। মামলার অপর আসামী পবা থানাধীন নওহাটা এলাকার শাহজাহান আলীর পুত্র আরিফুল ইসলাম (২৮)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, মোহনপুর থানাধীন বেড়াবাড়ি পূর্বপাড়া এলাকার কিনু সরদারের পুত্র রেফাজুল সরদার গত ২মাস ধরে রোকসানা খাতুনকে প্রেম নিবেদনসহ কুপ্রস্তাব দিয়ে আসছিলো। রোকসানা খাতুন বিষয়টি তার পরিবারের নিকট জানায়। গত ১৩ স্বেপ্টেম্বর রোকসানা খাতুন নানী বাড়ির
উদ্যেশে বের হলে সাড়ে ১০টার সময় মোহনপুর থানাধীন সাঁকোয়া মাদ্রাসা মোড় রাজশাহী হতে নওঁগাগামী পাঁকা রাস্তায় পৌছালে আসামী রেফাজুল সরদার অপর আসামী আরিফুল ইসলাম এর সহযোগীতা বিবাহের প্রলোভন দিয়ে ফুসলিয়ে অপহরন করে মোটরসাইকেলে করে অপহরণ করে মৌগাছি নিয়ে যায়।
প্রসঙ্গত, গত ১৩ স্বেপ্টেম্বর ১১টার সময় রোখসানা খাতুন পিতার বাসা থেকে একই থানাধীন বারিঠা গ্রামে তার নানার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হন। কিন্তু দুই দিন হয়ে গেলেও সে নানা বাড়িতে পৌছায়নি বা তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। তার ব্যবহৃত মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ ছিলো। এ ব্যাপারে নিখোঁজ রোখসানা খাতুনের মা মমতাজ বেগম মোহনপুর থানায় গত শনিবার রাতে
একটি সাধারণ ডাইরি করেন। ডাইরি নম্বর ৬১১। পরে মোহনপুর থানাপুলিশের তৎপরতায় গত ১৮ তারিখ তাকে মৌগাছি এলাকার রেফাজুল সরদারের ভাড়া বাড়ি থেকে উদ্ধার করে এবং রেফাজুল সরদারকে আটক করে।
এ ব্যাপারে মোহনপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোস্তাক আহম্মদ জানান, ভিকটিমকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাসসিস সেন্টারে ভর্তি করা হয়েছে এবং আসামীকে কোর্টেও মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকি আসামীদেও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান অব্যাহৃত রয়েছে।
আর/এস