ওমর ফারুক :
রাজশাহীতে চলতি মৌসুমের দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৯ ডিগ্রি ০৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এদিন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গত কয়েকদিন ধরেই রাজশাহী মহানগরসহ আশেপাশের উপজেলার উপর দিয়ে মৃদু তাপদাহ বয়ে যাচ্ছে। গতকাল শনিবার ৩৫ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি ও বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা ছিল ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তাপমাত্রার পরিমাণ উঠানামা করলেও সূর্যের খরতাপ ও ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছেন রাজশাহীর মানুষজন। রোববার সকাল থেকেই রাজশাহীতে প্রচন্ড রোদ পড়ে। বেলা বাড়ার সাথে সাথে তাপমাত্রার পরিমাণ আরো বেশি বাড়তে থাকে। বেলা ১১টার পর খরতাপে তেতে যায়
রাজশাহী। এ মৃদু তাপদাহে সবচাইতে বেশি সমস্যার মধ্যে পড়েছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ ও দিনমজুর। কারণ খরতাপে তারা মাঠে ও রাস্তায় বেশি সময় থাকতে পারছেননা। গলা শুকিয়ে যাওয়ায় একটু স্বস্তি পেতে মানুষ ঠান্ডা শরবত ও ডাবের পানি খাচ্ছেন। সেই সাথে ডায়রিয়াসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে শিশু ও বৃদ্ধরা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। রোববার দুপুরে রাহিদুল নামের এক রিক্সাচালক বলেন, রোদের মধ্যে বেশি সময় রিক্সা নিয়ে রাস্তায় থাকা যাচ্ছেনা। কিন্তু দায়ে পড়ে রাস্তায় থাকতে হচ্ছে। বাতাসেও তাপ রয়েছে। রাহিমুল নামের এক শ্রমিক বলেন, গরমে ঘেমে যাচ্ছি। তারপরও কাজ করতে হচ্ছে। কাজ না করলে খাবো কি? তাই কাজ করছি কষ্ট হলেও।
রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল রাজশাহীতে ৩৯ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৫ শতাংশ। আবহাওয়া আরো জানায়, তাপমাত্রা সাধারণত ৩৬ থকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মধ্যে থাকলে তাকে মৃদু তাপপ্রবাহ বলা হয়। আর ৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি পর্যন্ত তাপমাত্রা থাকলে তাকে মাঝারি তাপপ্রবাত বলা হয়। এছাড়া তাপমাত্রা ৪০ এর ওপরে উঠলেই তাকে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে বলা হয়।
উল্লেখ্য, ১৯৭২ সালের ১৮ মে রাজশাহীতে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫ দশমিক ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা এখন পর্যন্ত এটিই দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রার রেকর্ড। ২০০৫ সালের ১২ জুন রাজশাহীতে মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এরপর ২০১৪ সালের ২১ মে উঠেছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং ২০১৬ সালের ২৯ এপ্রিল উঠেছিল ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আর/এস