নিজস্ব প্রতিবেদক : কোন ধরণের সার্চ ওয়ারেন্ট ছাড়াই আরএমপির বোয়ালিয়া থানার পুলিশ রাজপাড়া থানা এলাকার রুবেল হোসেন নামের একব্যক্তির বাড়িতে গভীর রাতে প্রাচীর টপকে প্রবেশ করে গালিগালাজ ও মামলা দিয়ে হয়রানির হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে এসআই গোলাম মোস্তফা ও এএসআই রানার বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় প্রতিকার চেয়ে সোমবার রাজশাহী মেট্রোপলিন পুলিশ কমিশনার হুমায়ন কবিরের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী নগরীর তেরখাদিয়া ডাবতলা এলাকার বাক্কারের ছেলে রুবেল হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ তারিখ দিবাগত গভীর রাতে কয়েকজন তার প্রটেকশন ওয়াল টপকে তার বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে দরজা নক করে। এতে তার বাবা উঠে গিয়ে বারান্দায় দাঁড়ালে দেখতে পায় হেলমেট পরে থাকা ৪ জন ব্যক্তি বারান্দার গ্রীলের সামনে দাঁড়িয়ে আছে।
এ সময় তার বাবা দাঁড়িয়ে থাকা ব্যক্তিদের পরিচয় জানতে চাইলে তারা কোনকিছু না বলেই অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করে এবং হুমকি দেয় যে, অবৈধ মালামাল দিয়ে কোর্টে চালান করে দিবে। এর
কিছুক্ষণের মধ্যে রুবেলসহ অন্যদের ঘুম ভেঙ্গে যায়। এরপর তার ছোট বোন তাদের জিজ্ঞাসা করে আপনারা কে এবং কোথা থেকে এসেছেন? এই কথা শুনে তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে আবারো অকথ্য ভাষায় গালি দিতে থাকে এবং গেটে লাথি মারতে থাকে। এ সময় তাদের বাড়ির ভাড়াটিয়ারা উঠে আসলে তারা নিজেদের প্রথমে ডিবি পুলিশ দাবি করে ও পরে রাজপাড়া থানার পুলিশ দাবি করে এবং অকথ্য ভাষায় গালি গালাজ দিয়ে দরজা খুলতে বলে।
অভিযোগে আরো জানা গেছে, এ সময় ভয় পেয়ে তিনি তার বন্ধু পুলক নামের একজনকে কল দিলে তিনি ঘটনাস্থলে এসে তারা কোন থানার পুলিশ জানতে চাইলে তারা নিজের বোয়ালিয়া থানার এসআই মোস্তফা ও অন্যজন এএসআই রানা দাবি করে এবং অপর ২ জন নাম বলতে অস্বীকার করে। পরিচয় দেয়ার পর পুলিশ বলে, আসামী আছে। কে আসামী? এখানে কোন আসামী নাই বললে দুইজন চলে যায় এবং এসআই মোস্তফা ও এস.আই রানা বলে আসামীর নাম বলা যাবে না। ঘটনাস্থলে অন্য ভাড়াটিয়ারা আসলে দরজা খুলে দিলে পুলিশ বাসায় প্রবেশ সব কিছু তছনছ করে ফেলে এস.আই মোস্তফা ও এস.আই রানা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ দিয়ে চলে যায়।
তিনি আরো অভিযোগ করেন, কোন আসামী না থাকার পরেও একজন ব্যবসায়ীর বাড়িতে অন্য থানার পুলিশ গভীর রাতে প্রবেশ করে গালি দেয় তা বুঝতে পারছিনা। তাই তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান তিনি।
খবর ২৪ ঘণ্টাকে রুবেল অভিযোগ করে বলেন, আমরা ব্যবসা করি। তারপরও কেন পুলিশ আসলো ও গালিগালাজ করলো তা বুঝতে পারছি না। আমি এর বিচার চাই। এসআই মোস্তফা ও এএসআই রানা বোয়ালিয়ার হয়েও কেন রাজপাড়া থানা এলাকায় ঢুকে আসামী না থাকার পরেও এমন করলো তার বিচার চাই। তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর সোমবার সকালে বোয়ালিয়া থানার ওসি আমাকে থানায় ডেকে বিষয়টি মীমাংসা করে দেয়ার কথা বলেছেন।
এদিকে, খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বোয়ালিয়া মডেল থানার এসআই গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন ধরে বোয়ালিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাদাচরণসহ বিভিন্ন ধরণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। আর এএসআই রানার বিরুদ্ধেও স্থানীয়দের পক্ষ থেকে অসাদচরণসহ একাধিক অভিযোগ রয়েছে।
এ বিষয়ে রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এমকে