নিজস্ব প্রতিবেদক: রাজশাহী নগরীর বোয়ালিয়া মডেল থানার এক দারোগার (এসআই) বিরুদ্ধে একজন ওসির স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের গুরুতর অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সোমবার বিকালে নগরীর সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার নায়ক বোয়ালিয়া থানার এসআই মাসুদ রানা। পুঠিয়া থানার ওসি শাকিল উদ্দিন আহমদের স্ত্রী এই অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হন।
এ ঘটনায় পুঠিয়া থানার ওসি বোয়ালিয়া মডেল থানার ওসিকে মৌখিক অভিযোগ জানিয়ে সংশ্লিষ্ট দারোগার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করেছেন।
অন্যদিকে অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছেন বলে বোয়ালিয়া থানার ওসি আমান উল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলা পুলিশের পুঠিয়া থানার ওসি শাকিল উদ্দিন আহমদের স্ত্রী সোমবার বিকালে সাহেববাজার আরডিএ মার্কেটে যান কিছু কেনাকাটা করতে। ওসির স্ত্রী মার্কেটের একটি দোকানে গিয়ে কিছু জিনিসপত্র দেখছিলেন। এ সময় বোয়ালিয়া থানার এসআই মাসুদ রানাও ডিউটিরত অবস্থায় একই দোকানে গিয়ে ওসির স্ত্রীর শরীরঘেঁষে দাঁড়ান।
প্রত্যক্ষদর্শী দোকান মালিক ও কয়েক ক্রেতা নাম প্রকাশ না করে বলেন, ওসির স্ত্রী বারবার সরে যাচ্ছিলেন। একই সময়ে এসআই মাসুদ রানাও বারবার তার শরীরঘেঁষে দাঁড়াচ্ছিলেন। একপর্যায়ে ওসির স্ত্রী অতিষ্ঠ হয়ে এসআই মাসুদ রানার অশোভন আচরণের প্রতিবাদ করেন। নিজেকে পুঠিয়া থানার ওসির স্ত্রী পরিচয় দেয়ার পরও এসআই মাসুদ রানা তার সঙ্গে অশোভন আচরণ করেন।
একপর্যায়ে উভয়ে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়লে দোকানি ও ক্রেতাদের হস্তক্ষেপে এসআই মাসুদ রানা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। যাওয়ার আগে এসআই মাসুদ রানা আবারও ওসির স্ত্রীকে বলেন- আপনি যে ‘ওসির স্ত্রী’ এটা লিখে বুকে একটা সাইনবোর্ড লাগিয়ে নেবেন সে সময় ওসির স্ত্রী কান্নায় ভেঙে পড়েন ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরও জানান, এসআই মাসুদ রানা ঘটনার সময় পোশাকে ছিলেন এবং আরডিএ মার্কেটে ঈদে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল ডিউটি করছিলেন। ওসির স্ত্রী তার সঙ্গে অশোভন আচরণের প্রতিবাদ করলে তাকে ভয়ও দেখান বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এদিকে ওসির স্ত্রীকে উত্ত্যক্তের কথা অস্বীকার করে বোয়ালিয়া থানার এসআই মাসুদ রানা বলেন, ‘সোমবার বিকালে একজন নারীর সঙ্গে কিছুটা ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আমি উনাকে (ওসির স্ত্রী) চিনতে পারিনি। আমি উনার কাছে ক্ষমা চেয়ে নেব।’
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রাজশাহী মহানগর পুলিশের মুখপাত্র ও আরএমপির সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার ইফতে খায়ের আলম বলেন, বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অবহিত হয়েছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান তিনি।
/জেএন