নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের উজিরপুকুর গ্রামের মেয়ে বেহেস্তি খাতুন (১৫) এনজিও কর্মী ও পুলিশের সহায়তায় বাল্যবিয়ের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছে। বেহেস্তি উজিরপুকুর গ্রামের আব্দুস সালামের মেয়ে ও রাজশাহীর খড়খড়ি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর ছাত্রী। শুক্রবার দুপুর সোয়া ২টার দিকে আরএমপির চন্দ্রিমা থানা পুলিশ ও নবদিগন্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা গিয়ে বিয়েটি বন্ধ করে দেন। চন্দ্রিমা থানার মুসরইল বাচ্চুর মোড় এলাকার রেজাউল করিমের ছেলে লিটু (২১) এর সাথে তার বিয়ে হতে যাচ্ছিলো। অঙ্গীকারনামা দেওয়ায় এ ঘটনায় মেয়ের পরিবারের কেউ বা ছেলের পরিবারের কেউ আটক হয়নি। নবদিগন্ত মহিলা উন্নয়ন সংস্থা রাজশাহীর নির্বাহী পরিচালক রাজিয়া সুলতানা জানান, শুক্রবার দুপুরে তিনি খবর পান যে, পবা উপজেলার পারিলা ইউনিয়নের উজিরপুকুর গ্রামে স্কুল পড়ুয়া মেয়ের বিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি জানতে পেরে তিনি তাৎক্ষনিক বিষয়টি আরএমপির চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবিরকে জানান। এরপর চন্দ্রিমা থানা পুলিশের একটি দল ও তিনি নিজে ওই বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়েটি বন্ধ করে দেন। বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেওয়া পর মেয়ের বাবা পুলিশের কাছে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা দেন যে, ১৮ বছর হওয়ার আগে তার মেয়ে বেহেস্তির বিয়ে দেবেন না। আর বিয়ে দিলে বা দেওয়ার চেষ্টা করলে তার বিরুদ্ধে প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে। এ বিষয়ে চন্দ্রিমা থানার ওসি হুমায়ন কবির বলেন, একটি বাল্য বিয়ে বন্ধ করা হয়েছে। ওই মেয়ের পরিবারের লোকজন পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। তাদের থেকে একটি লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে।
খবর ২৪ ঘণ্টা/আর