হালের অন্যতম আলোচিত নাম হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও ঢাকা মহানগরীর সাধারণ সম্পাদক মামুনুল হক। জানা গেছে, বেশ কিছু ঘটনাকে কেন্দ্র করে তার বিরুদ্ধে রাজধানীর বিভিন্ন থানাতেই ১৭টি মামলা রয়েছে। তার মধ্যে রয়েছে মারধর, হত্যার উদ্দেশ্যে করা আঘাতে গুরুতর জখম, চুরি, হুমকি এবং ইচ্ছাকৃতভাবে ধর্মীয় কাজে গোলযোগের অভিযোগ এনে মোহাম্মদপুর থানায় মামুনুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছেন স্থানীয় এক ব্যক্তি। আর এই মামলায় পুলিশ ৭ দিনের রিমান্ড আবেদন করবে।
সোমবার (১৯ এপ্রিল) মামুনুল হককে আদালতে পাঠানো কথা রয়েছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশের।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তর সূত্রের্য খবর, গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) মতিঝিল বিভাগে তদন্তাধীন ৮ মামলা, লালবাগ বিভাগে তদন্তাধীন ২টি মামলা ও তেজগাঁও বিভাগে তদন্তাধীন ১ টি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হলেন মামুনুল হক।
তার বিরুদ্ধে মতিঝিল থানায় তদন্তাধীন ১টি ও পল্টন থানায় তদন্তাধীন ৪টি মামলায় রয়েছে। উল্লিখিত ১৬টি মামলার মধ্যে ১৫টিই হয়েছে ২০১৩ সালের ৫মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের তাণ্ডবের পর। ওই ১৫ মামলার বাদী পুলিশ। ১৬ মামলার অন্যটি সম্প্রতি পল্টন থানায় দায়ের করেন যুবলীগের এক নেতা।
রাজধানীর বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় পুলিশ, ছাত্রলীগ এবং আওয়ামী লীগের সঙ্গে হোফজতের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের পর মামুনুলের বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। আরও একটি রয়েছে মোহাম্মদপুর থানার মামলা।
গতকাল রোববার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটের দিকে মোহাম্মদপুরের জামিয়া রাহমানিয়া মাদরাসা থেকে মাওলানা মামুনুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়।
তাকে গ্রেপ্তারের পর তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মো. হারুন-অর-রশিদ বলেন, ২০২০ সালের মোহাম্মদপুর থানার একটি ভাঙচুর ও নাশকতার মামলার তদন্ত চলছিল। তদন্তে হেফাজত নেতা মামুনুলের সম্পৃক্ততার বিষয়টি সুস্পষ্ট হওয়ায় আমরা তাকে গ্রেপ্তার করেছি।
ডিসি হারুন আরও বলেন, জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, হাটহাজারীর ঘটনার পর থেকেই নজরদারিতে ছিলেন মামুনুল হক।
জেএন