1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
মোহনপুরে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা: দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওসি প্রত্যাহার - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ অপরাহ্ন

মোহনপুরে স্কুলছাত্রীর আত্মহত্যা: দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে ওসি প্রত্যাহার

  • প্রকাশের সময় : সোমবার, ২০ মে, ২০১৯
ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব প্রতিবেদক :
রাজশাহীর মোহনপুরে স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আকতার বর্ষা অপহরণ ও আত্মহননে দায়িত্বে অবহেলা এবং বর্ষার বাবাকে উল্টো হয়রানির ঘটনায় রাজশাহীর মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সোমবার বিকেলে রাজশাহী জেলা পুলিশ সুপার মো: শহিদুল্লাহ ওসিকে প্রত্যাহারের আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করে রাজশাহী জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) ইফতে খায়ের আলম বলেন, প্রশাসনিব কারণে মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেনকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তাকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলার কারণে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওই ঘটনায় তিন সদস্যের কমিটি গঠন করা

হয়েছে। রিপোর্ট পেলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। উল্লেখ্য, অপহরণের পর আসামির স্বজনের হুমকি আর অপমানে মোহনপুর উপজেলার স্কুলছাত্রী সুমাইয়া আকতার বর্ষা আত্মহত্যার করে। আত্মহত্যার আগেই পুলিশের কাছে অপহরণের মামলা করতে যান তার বাবা। তবে মামলা না নিয়ে তাকে পিটিয়ে দাঁত ভেঙে দিতে চান মোহনপুর থানার ওসি আবুল হোসেন। শুধু তাই নয়, পরপর চারদিন থানায় গভীর রাত পর্যন্ত আটকে রেখে তাকে হয়রানি করারও অভিযোগ রয়েছে। গত শনিবার সকালে মোহনপুর উপজেলা সদরে বর্ষার বাড়িতে গেলে এসব তথ্য জানান পরিবারের সদস্যরা। তারা বলেন, সঠিক সময়ে পুলিশ কঠোর ব্যবস্থা নিলে বর্ষাকে হয়তো আত্মহনন থেকে বাঁচানো যেত। বর্ষার বোন অভিযোগ করে জানান, বাকশিমুল উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী বর্ষা স্কাউট

দলের সেকেন্ড ক্যাপ্টেন ছিল। স্কুলে যাতায়াতের সময় প্রায় ৬ মাস ধরে তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল পাশের বাড়ির আনিস উদ্দিনের ছেলে মুকুল। তার প্রস্তাবে সাড়া না দিয়ে বিষয়টি বর্ষা বাড়িতে জানিয়েছিল। তারা উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যানকেও এ ঘটনা জানিয়েছিলেন। তবে তারা ভাবতেই পারেননি, বর্ষাকে অপহরণ করার মতো ঘটনা ঘটাবে মুকুল। তিনি আরও জানান, গত ২৩ এপ্রিল প্রাইভেট পড়তে যেতে চায়নি বর্ষা। তার সহপাঠী প্রতিবেশী সোনিয়া অনেকটা জোর করেই সেদিন তাকে নিয়ে যায়। এরপর সোনিয়া বাড়ি ফিরলেও বর্ষা আসেনি। বিকেলে তারা খবর পান, বাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে খানপুর বাগবাজার এলাকায় অচেতন অবস্থায় বর্ষা পড়ে আছে। সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে আনা হয় উপজেলা পরিষদের গেটে। ওই দিন সন্ধ্যায় তার বাবা থানায় অপহরণের মামলা করতে যান। তবে ওসি আবুল হোসেন নানা অজুহাতে রাত ১২টা পর্যন্ত

তাকে আটকে রাখেন। পরে বর্ষার অবস্থার অবনতি হলে রাত সাড়ে ১২টায় পুলিশের গাড়িতে করেই তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। রাতেই পুলিশ অভিযুক্ত মুকুলকে গ্রেপ্তার করলেও সকালে ছেড়ে দেয়। এরপর টানা চার দিন মামলা করতে গেলেও পুলিশ মামলা নেয়নি।
বর্ষার বাবা আব্দুল মান্নান চাঁদ বলেন, আমরা এসপির কাছে যাব বিষয়টি জানতে পেরে প্রতিদিন থানায় ডেকে আটকে রাখা হচ্ছিল। পরে একদিন ওসিকে বলি, যদি মামলা না নেন, তো বলে দেন। হয়রানি কেন করছেন? একথা বলতেই ওসি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, পিটিয়ে দাঁত-মুখ ভেঙে দেব। আব্দুল মান্নান বলেন, এরপর মোহনপুরের সাবেক ইউএনও বর্তমানে এডিসি আলমগীর কবীরকে বিষয়টি ফোনে জানাই। তিনি জেলা পুলিশ সুপারকে জানান। পুলিশ সুপার বর্ষাকে নিয়ে যেতে বললে তাকে সব খুলে বলি। এরপর ওসি থানায়

মামলা নেন। তবে তিনি ধর্ষণের অভিযোগ বাদ দেন। ওসি বলেন, মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া ধর্ষণের মামলা নেওয়া যাবে না। এ বিষয়ে ওসি আবুল হোসেন দাবি করেন, তিনি কোনো হয়রানি করেননি। মারধর করতেও চাননি। তার প্রচেষ্টাতেই মুকুলসহ চার আসামি গ্রেপ্তার হয়েছে।বর্ষার মা ফরিদা বেগম বলেন, বর্ষা বাড়ি ফিরে তাদের জানায়, সহপাঠী সোনিয়া তাকে প্রাইভেট পড়ার জন্য ডেকে নিয়ে যায়। পরে সে রুমাল দিয়ে তার নাক ধরে। এরপর বর্ষা অচেতন হয়ে পড়ে। জ্ঞান ফিরে সে নিজেকে বাড়ি থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে বাগবাজার এলাকায় দেখতে পায়। নিজের শরিরে থাকা জামার বদলে অন্য জামা দেখতে পায়। তার পাশে তখন অভিযুক্ত মুকুল ও দেলোয়ার নামের একজন ভ্যানচালক ছিল। তবে পুলিশ অপহরণ মামলায় দেলোয়ারকে আসামি করেনি। জামা বদল থাকায় ধারণা করা

হচ্ছিল, তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। ফরিদা বেগম আরও বলেন, ২৭ এপ্রিল মামলার পর মুকুলকে গ্রেপ্তার করা হলে শুরু হয় চরম গালাগাল ও হুমকি। আসামিরা বাড়ি এসে মেয়েদের এসিড নিক্ষেপের হুমকি দেয়। অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে। গত বৃহস্পতিবার গোসল করতে গেলে বর্ষাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল দেওয়া হয়। এতে অভিমানে মেয়েটি আত্মহত্যা করে। বর্ষার আত্মহত্যার ঘটনায় ১৩ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন তার বাবা। পুলিশ এ মামলায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। আসামি মুকুল কারাগারে থাকলেও অন্য আসামিরা বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়েছে। আসামি সোনিয়া আদালত থেকে জামিন নিয়ে পরিবারসহ পালিয়েছে। শনিবার দুপুরে তাদের বাড়ি গেলে তালা ঝুলতে দেখা যায়।

আর/এস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST