নিজস্ব প্রতিবেদক : মোহনপুরে পেশাগত কাজ শেষে রাজশাহী মহানগরীতে ফেরার পথে মাজহারুল ইসলাম চপল নামের এক সাংবাদিককে মারধরের ঘটনা ঘটেছে এ ঘটনায় ওই সাংবাদিক বাদী হয়ে আদালত একটি মামলা দায়ের করেছেন।
জানা গেছে, গত ৫ ফেবব্রুয়ারী বুধবার রাজশাহীর মোহনপুরে অবৈধ পুকুর খননের কাজ চলছে জানতে পেয়ে জাতীয় দৈনিক গনমুক্তির রাজশাহী প্রতিনিধি ও বিজয় টিভির ক্যামেরা পারর্সন মাজহারুল ইসলাম চপল ও তার সাথে থাকা অন্যান্য সংবাদকর্মীরা মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জনাব সানওয়ার হোসেনকে বিষয়টি অবগত করে। ইউএনও মহোদয় বিষয়টি আমলে নিয়ে দ্রুত তার সহকর্মীদের নিয়ে একটি মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন। সংবাদ সংগ্রহ শেষে মোহনপুর থেকে ফেরার পথে তার সহকর্মীরা দ্রুত চলে আসতে থাকে পিছু পড়ে সাংবাদিক চপল। পথি মধ্যে অর্থাৎ ত্রীমহিনির মোড়ে কিছু লোক পথ রোধ করে। অবশ্য সাংবাদিক চপল কয়েক জনকে চিনতে পারে। তাদের ভেতর রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার ৪ নং মৌগাছী ইউ পি এর বর্তমান চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাস, বাকসিমইল উচ্চ বিদ্যালয় স্কুলের শিক্ষক আঃ
সবুর, আনারুল, জামালসহ ১০-১২ জন তাকে ঘিরে ধরে । তারপর তাকে বেধরক মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। তার সহযোগিরা লাঠি, লোহার রড, ছুরি নিয়ে পাশে দাড়িয়ে তাকে ভয়ভীতি দেখায়। জোর করে তার সঙ্গে থাকা ক্যামেরা ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেয়। একপর্যায়ে চিৎকার দিলে চপলের সহকর্মীরা ছুটে আসে। আসার সঙ্গে সঙ্গে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষন বিশ্রাম নেওয়ার পরে মুঠোফোনে ইউএনও কে বিষয়টি জানানো হয়। পরে তার সহকর্মীরা উদ্ধার করে রামেক হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ২ সপ্তাহ বিশ্রাম দেন। ভয়পেয়ে এই তরুন সাংবাদিক আরও অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরবর্তিতে তার সহকর্মীদের পরামর্শ ও সহযোগিতায় ১৮ ফেব্রুয়ারি রাজশাহী কোর্টে একটি মামলা করেন। পরবর্তিতে খোজ নিয়ে জানা গেছে উপর মহলকে ম্যানেজ করে এর আগে মৌগাছী ইউনিয়নের আকুবাড়ি ও মৌপাড়া বিলে প্রায় ৪০ বিঘার একটি পুকুর চেয়ারম্যান আল-আমিন বিশ্বাস খনন করেছেন। তারপর একের পর এক একই বিলে পুকুর খনন করে চলেছেন। এ বিষয়ে তথ্য নিতে গেলে সাংবাদিকদের সাথে খারাপ আচরন ও লাঞ্ছিত করেন এই আল-আমিন বিশ্বাস, আঃ সবুর মাষ্টার ও তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এমনকি মেরেফেলার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন তারা। এখন এই তরুন সাংবাদিক মাজহারুল ইসলাম চপল চরম ভয় ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
আর/এস