শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি: মুজববর্ষের অঙ্গিকার, আশ্রয়নের অধিকার, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে মাথা গোঁজার ঠাঁই পাচ্ছেন বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ১৬৩ টি অসহায়, ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে দুর্যোগ সহনীয় গৃহ নির্মানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরের গ্রামীন অবকাঠামো সংস্কার (কাবিটা) কর্মসূচীর আওয়ায় তৈরি হচ্ছে এসব গৃহহীনদের স্বপ্নের বাড়ি। চারদিকে ইটের দেয়াল এবং মাথার ওপরে দেওয়া হচ্ছে সবুজ রঙের টিনের ছাউনি। উপজেলার কুসুম্বি ইউনিয়নে ২০টি, গাড়িদহ ইউনিয়নে ০৬টি, খামারকান্দি ইউনিয়নে ০৩টি, খানপুর ইউনিয়নে ২২টি, মির্জাপুর ইউনিয়নে ১০টি, বিলাশপুর ইউনিয়নে ২৮টি, ভবানীপুর ইউনিয়নে ৪১টি, সীমাবাড়ি ইউনিয়নে ৩৩টি সহ মোট ১৬৩ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। প্রতিটি ঘরের খরচ ধরা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা।
মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার খানপুর ইউনিয়নের কয়ের খালি গ্রামে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, বাড়িগুলোতে ব্যবহার করা হয়েছে সবুজ রংয়ের টিন। দুই রুম বিশিষ্ট বাড়িতে রয়েছে একটি রান্না ঘর ও টয়লেট। বেশিরভাগ বাড়ির নির্মাণকাজ প্রায় শেষ। এখন দেয়ালের রংয়ের কাজ চলছে। ২৩ জানুয়ারি বুধবার সকাল সাড়ে ১০ টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে একযোগে সারা দেশের ন্যায় শেরপুরেও এই আশ্রয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন। প্রধানমন্ত্রীর এই কার্যক্রমকে সফল
করতে স্থানীয় প্রশাসন দিন-রাত কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। এ ব্যপারে ঘর বরাদ্দ পাওয়া উপকার ভোগী পরিবারদের আনন্দে আত্মহারা সকল সদস্যগন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার দীর্ঘায়ু কামনা করে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কারিগর বর্তমান আওয়ামীলীগ সরকারের ধারাবাহিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে দেশের সকল মানুষকে এই জনবান্ধব সরকারের পাশে থাকার আকুল আবেদন জানান।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) শামসুন্নাহার শিউলী বলেন, ঘরগুলো নির্মাণ কাজের শুরু থেকে স্থানীয় সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান এমপি, উপজেলা চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু নিয়মিতভাবে নির্মান কাজ বাস্তবায়ন করতে সহযোগিতা করেছেন।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. লিয়াকত আলী সেখ বলেন, মুজিব বর্ষ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা দেশের ন্যায় শেরপুর উপজেলাতেও ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য পাকা বাড়ি নির্মাণ করা হয়েছে। এ উপজেলায় ১৬৩ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার পাচ্ছেন ওই ঘর।
শেরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও বগুড়া জেলা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব মজিবর রহমান মজনু বলেন, ঘর নির্মাণের কাজ সঠিকভাবে তদারকি করা হচ্ছে। সারাদেশের ন্যায় শেরপুর উপজেলাতেও কেউ গৃহহীন থাকবে না। মুজিববর্ষে গৃহহীনদের ঘর নির্মাণের মাধ্যমে শেখ হাসিনার করা অঙ্গীকার বাস্তবায়িত হচ্ছে।
শেরপুর ধুনট নির্বাচনী এলাকার সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবর রহমান বলেন, মুজিব বর্ষে শেখ হাসিনার উপহার স্বরূপ সারাদেশে ৯ লক্ষ গৃহহীন পরিবার ঘরগুলো পাচ্ছেন। এর মধ্যে শেরপুর উপজেলায় ১৬৩ টি ঘরের প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হয়েছে।
জেএন