খবর ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক: কারাগার থেকে বের হতে পারলে ফিরোজার একেবারে পাশেই খালেদা জিয়ার নিজের নামে বরাদ্দকৃত বাড়িটিতে উঠতে পারবেন তিনি। ১৯৬ নম্বর গুলশান এভিনিউতে দেড় বিঘা জমির ওপর নির্মিত বাড়িটি বিচারপতি সাত্তার সরকারের সময়ে খালেদা জিয়ার নামে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।
তিন বেড, বিশাল ড্রয়িং, লিভিং রুম ও সুইমিং পুলসহ অত্যাধুনিক সুযোগ-সুবিধাও রয়েছে ওই বাড়িতে। অন্যদিকে ডুপ্লেক্স হলেও গুলশানে আগে যে বাড়িতে খালেদা জিয়া ছিলেন, সেখানে লিফট নেই। ফলে পায়ের অসুখের কারণে নিজের ওই একতলা বাড়িতে ওঠার সম্ভাবনাই বেশি খালেদার।
এই বাড়িতে বর্তমানে কয়েক লাখ টাকা মাসিক ভাড়া দিয়ে থাকছেন ব্রিটিশ আমেরিকান ট্যোবাকোর সিইও (প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা)। তিনি অনেকদিন ধরে এই বাড়িটি ভাড়া নিয়ে আছেন। ঠিক এ বাড়ির পাশেই ‘ফিরোজা’য় ভাড়া থাকছিলেন খালেদা জিয়া।
গুলশান ২-এর ৭৯ নম্বর রোডের ‘ফিরোজা’ নামের বাড়িটির মালিক বিএনপি নেতা সাবেক প্রতিমন্ত্রী মেজর (অব.) কামরুল ইসলামের ছেলে তানভীর ইসলাম।
শহীদ মঈনুল হোসেন রোডের বাড়ি থেকে তাকে ওই বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দেন তানভীর ইসলামের বাবা কামরুল ইসলাম। কিছুদিন ভাই শামীম এস্কান্দারের বাড়িতে থেকে ২০১২ সালের ২১ এপ্রিল ওই বাড়িতে ওঠেন খালেদা জিয়া।
কিন্তু দুর্নীতি মামলায় কারাগারে যাওয়ায় গত বছরের ফেব্রুয়ারি থেকে খালেদা ফিরোজায় নেই। বাড়িটিতে এখন সুনসান নীরবতা। বাড়ির পাহাড়াদার কর্মচারীদের বেতন নেই অনেকদিন। এছাড়া কয়েক মাস হয়েছে মালিককে বাড়িটির ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে বাড়িটিকে ঘিরে গত কয়েক মাস ধরেই নানা আলোচনা তৈরি হয়।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন