খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নে ষাটোর্ধ্ব বৃদ্ধা মাকে মারধর করে ঘর থেকে বের করে দিয়েছেন ছেলে দুলাল হোসেন (৪৫)।
গত তিনদিন ধরে ঘরের জিনিসপত্রসহ বাড়ির বাইরে অবস্থান করছেন অসহায় ওই বৃদ্ধা। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে সবার দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তিনি।
সরেজমিনে দেখা যায়, বৃদ্ধা মায়ের ব্যবহৃত জিনিসপত্র ঘরের বাইরে ফেলে রেখেছেন বড় ছেলে দুলাল হোসেন। এ সময় ওই বৃদ্ধার ছবি তুলতে গেলে দুলাল হোসেন বাধা দেন।
জানা গেছে, উপজেলার বড়খাতা ইউনিয়নের বড়খাতা গ্রামের বাহানত উল্লাহর মৃত্যুর পর তার স্ত্রী জোবেদা বেওয়া দুই ছেলেকে নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করেন। গত রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) কথা কাটাকাটির জেরে রাতে মাকে মারধর করে সব জিনিসপত্রসহ ঘর থেকে বের করে দেন বড় ছেলে দুলাল হোসেন। এরপর ছোট ছেলে জোবেদ আলীকে সঙ্গে নিয়ে স্থানীয় বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দেন ওই মা।
বৃদ্ধা জোবেদা বেওয়া বলেন, জায়গা-জমি সব লিখে নিয়ে আমাকে মারধর করে জিনিসপত্র ঘর থেকে বাইরে ফেলে দিয়েছে বড় ছেলে। আমার স্বামীর রেখে যাওয়া ঘর থেকে বের করে দিল আমাকে। এ দুঃখ কাকে বলি। পেটের ছেলে এভাবে মারবে এবং বের করে দেবে তা মেনে নেয়া যায় না।
বৃদ্ধার বড় ছেলে ও বড়খাতা বাজারে দর্জি দুলাল হোসেন বলেন, আমার মায়ের মুখের ভাষা খুবই খারাপ। তাই আমি মায়ের জিনিসপত্র বাইরে রেখে দিয়েছি। আমার মাকে মারধর করিনি।
বড়খাতা ইউনিয়নের নারী ইউপি সদস্য আমিজন নেছা বলেন, বিষয়টি আমরা শুনে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। তার ছেলে কাজটি ঠিক করেনি।
এ বিষয়ে বড়খাতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা জামাল সোহেল বলেন, আমি ঘটনা শুনে সেখানে গিয়ে দেখেছি। ছেলে হয়ে মাকে মারধর করা ঠিক হয়নি। বিষয়টি দ্রুত সমাধানের ব্যবস্থা করব।