সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১১ জানুয়ারি ২০১৮
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মডেল রাওধার মৃত্যু ও জঙ্গি আস্তানার সন্ধানসহ রাজশাহীর আলোচিত ঘটনা

omor faruk
জানুয়ারি ১১, ২০১৮ ১০:২৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

নিজস্ব প্রতিবেদক :
২০১৭ সাল বিভিন্ন ঘটনার কারণে টক অব দ্যা রাজশাহীতে পরিণত হয়। এরমধ্যে কয়েকটি ঘটনা রাজশাহীতে বছরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল। তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, রাজশাহী মহানগর পুলিশের রাজপাড়া থানার সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার সরফরাজের মৃত্যু, ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী ও মালদ্বীপের ভোগের বিখ্যাত মডেল কণ্যা রাউধা অতিফের মৃত্যু, রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে জঙ্গি আস্তানা, তানোরে জঙ্গি আস্তানা, বছরের একবারেই শেষদিকে এসে সম্পত্তির জন্য পুত্র কর্তৃক পিতাকে হত্যা ও দুই শিশুর মাপলার দিয়ে ট্রেন থামানো।
গত ২৯ শে মার্চ দুপুরে রাজশাহী ইসলামি ব্যাংক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ছাত্রী হোস্টেলের ২০৯ নম্বর কক্ষ থকে রাউধা আতিফের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এর ১২ দিন পর গত ১০ই এপ্রিল তার সহপাঠী সিরাতকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন রাউধার বাবা ডা. মোহাম্মদ আথিফ।

 

 

কিছুদিন যেতে না যেতেই রাওধা আতিফের বাবা রাজশাহীতে মেয়ের বিচার চাইতে এসে এক মেয়েকে বিয়ে করে নতুন করে আলোচনার জন্ম দেন। বিষয়টি কয়েকদিন রাজশাহীর মানুষের মুখে মুখে ব্যাপক আলোচিত ও সমালোচিত ছিল।
মামলায় পুলিশের চার্জশিটে একে আত্মহত্যা বলা হয়। কিন্ত মামলার বাদী রাউধার পিতা আপত্তি তুলে।
গত ১৭ই অক্টোবর মামলার চুড়ান্ত প্রতিবেদন দাখিল করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এই প্রতিবেদনেও রাউধা আত্মহত্যা করেছিলেন বলে জানানো হয়। এতে আপত্তি তুলে মামলাটি পুনঃতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করেন রাওধার বাবা। আদালত আবেদন আমলে নিয়ে মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে দায়িত্ব দিয়েছে।
২৩শে ডিসেম্বর থেকে তারা নতুন করে তদন্ত শুরু করেছে।

 

 

গত ১১ই মে রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার মাটিকাটা ইউনিয়নের বেনীপুর গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় অপারেশন ‘সান ডেভিল’র অভিযান শুরু হলে জঙ্গিরা সংঘবদ্ধভাবে আক্রমণ চালিয়ে ফায়ার সার্ভিস কর্মী আব্দুল মতিনকে ধারালো অস্ত্র কুপিয়ে ও খুন্তি দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। পুলিশ পাল্টা গুলি ছুড়লে ও জঙ্গিদের বিস্ফোরণে পাঁচ জঙ্গি নিহত হন। তবে জীবিত অবস্থায় দুই শিশু জোবায়ের হোসেন (৭) ও তিন মাসের শিশুকন্যা সুরাইয়া আক্তার আফিয়াকে উদ্ধার করা হয় এবং তাদের মা সুমইয়া খাতুন (২৮) আত্মসমর্পণ করেন। সুমাইয়া জঙ্গি সাজ্জাদের বড় মেয়ে। ওই ঘটনার আগে জেএমবি সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সুমাইয়ার স্বামী জহুরুল ইসলামকে (৩০) পুলিশ গ্রেপ্তার করে। বর্তমানে তিনি গাজীপুরের কাশিমপুর কারাগারে বন্দি আছেন। গ্রেপ্তারকৃত জেএমবি সদস্যের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ওই জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালানো হয়। পরদিন ১২ই মে শুক্রবার দুপুর দেড়টার দিকে দুইদিন ধরে চলা অপারেশন ‘সান ডেভিল’ এর সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

 

এর রেশ কাটতে না কাটতেই গত ১১ই জুন তানোর উপজেলার পাঁচন্দর ইউনিয়নের ডাঙাপাড়া গ্রামে জঙ্গি আস্তানায় অভিযান চালিয়ে চার শিশুসহ প্রায় ১২ জনকে আটক করে পুলিশ। এই অভিযানের সময় ওই বাড়ি থেকে দুইটি সুইসাইডাল ভেস্ট, ৫ রাউন্ড গুলিসহ পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

 

 

বছরের শেষদিকে ১৮ই ডিসেম্বর বাঘার দুই শিশুর বুদ্ধিমত্তায় তেলবাহী একটি ট্রেন দুর্ঘটনার কবল থেকে রক্ষা পায়। সেদিন সকাল ৯টায় ভাঙ্গা রেললাইন দেখে লাল মাফলার দেখিয়ে ট্রেনটি থামায় সিহাবুর ও টিটোন নামের দুই শিশু।
ঘটনার পর থেকেই রাজশাহীতে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে উঠে আসে। বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়ার পর পশ্চিমাঞ্চল রেল, জেলা প্রশাসন, বিভাগীয় প্রশাসন সহ অন্যান্য সংগঠনের উদ্যোগে তাদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
তার কয়দিন পরেই রাজশাহীর পবা উপজেলায় সম্পত্তির জন্য পিতাকে পুত্র ছুরি দিয়ে কুপিয়ে খুন করে। ঘটনার পর তার ছোট ভাই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করে। আসামী পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করে। তার কয়েক মাস আগে পবা উপজেলায় গলা কাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। ওই ঘটনায় পুলিশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করে। এ কয়েকটি ঘটনা নিয়ে রাজশাহী বছরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ছিল।

খবর২৪ঘণ্টা/এমকে

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।