খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: সম্প্রতি ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার বিকেল চারটায় গণভবনে গণমাধ্যমকর্মীদের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব এহসানুল করিম মঙ্গলবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে রাষ্ট্রীয় সফরে বিদেশ গেলে সফরের বিষয়বস্তু বরাবর আনুষ্ঠানিকভাবে গণমাধ্যমকে জানান। সব শেষ সৌদি আরব, যুক্তরাজ্য এবং অস্ট্রেলিয়া সফর নিয়ে গত ২ মে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
গত ২৫ ও ২৬ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ সফর করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রথম দিন কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের স্মৃতিবিজরিত শান্তিনিকেতনের বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন এবং বাংলাদেশ ভবনের উদ্বোধন করেন। সফরের দ্বিতীয়দিন চুরুলিয়ার কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেন শেখ হাসিনা। গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও সামাজিক পরিবর্তনে অবদানের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়টি তাকে সম্মানসূচক ডি-লিট ডিগ্রি দেয়।
এই দুটি আনুষ্ঠানিকতার জন্যই প্রধানমন্ত্রীর পশ্চিমবঙ্গ সফরের তথ্য আগেই জানিয়েছিল পররষ্ট্র মন্ত্রণালয়্। তবে এর বাইরে সফরের প্রথম দিন বাংলাদেশ ভবনেই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে এক ঘণ্টার একান্ত বৈঠক হয়েছে শেখ হাসিনার। এই বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে, সেটি প্রকাশ করেনি দুই দেশের সরকার।
২০১১ সালেই তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি হওয়ার কথা ছিল। ভারতের সে সময়কার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং ঢাকায় আসেন এই চুক্তি করতেই। কিন্তু শেষ মুহূর্তে বেঁকে যান মমতা। আর তার অসম্মতিতে চুক্তি করতে চাননি মনমোহন। মমতা এখনও তিস্তা নিয়ে চুক্তিতে রাজি নন। তার দাবি, কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশকে যে পরিমাণ পানি দেয়ার কথা বলছে, সেটা পশ্চিমবঙ্গেই আসে না।
প্রধানমন্ত্রীর সাম্প্রতিক ভারত সফরের উদ্দেশ্য তিস্তা চুক্তি নয়, এই বিষয়টি আগেই খোলাসা করেছিলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। তবু সফর নিয়ে সবচেয়ে বেশি কথা হচ্ছে এই বিষয়টি নিয়েই।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই সফরে ছিলেন তার ছোট বোন শেখ রেহানা, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম, গওহর রিজভী, মসিউর রহমান ও তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী প্রমুখ।
পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব সাজ্জাদুল হাসান খান, নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সৈয়দ মোয়াজ্জেম আলীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রধানমন্ত্রীর সফরসঙ্গী হন।
এছাড়া ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান ও অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক হারুন-অর-রশীদ, শিল্পী হাশেম খান, একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী মোজাম্মেল বাবু, আওয়ামী লীগ নেতা দীপু মণি ও শেখ হেলাল উদ্দিন, অসীম কুমার উকিল, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এসএম কামাল, শামসুন্নাহার চাঁপা, পারভিন জামান কল্পনা, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল প্রমুখ।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ