সবার আগে.সর্বশেষ  
ঢাকামঙ্গলবার , ৫ ডিসেম্বর ২০১৭
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বয়স জালিয়াতির দায়ে পুলিশের এএসআই আটক

অনলাইন ভার্সন
ডিসেম্বর ৫, ২০১৭ ৮:৫২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের অনার্স (সম্মান) ১ম বর্ষ ভর্তি পরীক্ষায় বয়স জালিয়াতি করে অংশগ্রহণের দায়ে পুলিশের এক এএসআইকে আটক করা হয়েছে। ওই পুলিশ সদস্যের নাম নূর মোহাম্মাদ।

তিনি ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আব্দালপুর পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত ছিলেন। ইবির ‘সি’ ইউনিটের প্রথম শিফটে পরীক্ষা দিতে এসে আটক হয় নূর মোহাম্মাদ। তবে তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না নিয়ে পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

ক্যাম্পাস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানার আব্দালপুর পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই নূর মোহাম্মাদ ‘সি’ ইউনিটে ভর্তি পরীক্ষা দিতে আসে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদ ভবনে তার সিট পড়ে। সকাল ৯টায় ব্যবসায় প্রশাসন ভবনে প্রবেশ করার সময় ওই ভবনে দায়িত্বরত শিক্ষক সহকারী প্রক্টর নাসিমুজ্জামান তার বয়স নিয়ে সন্দেহ হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসে রাখা হয়। প্রক্টর লিখিত অভিযোগসহ ওই পুলিশ সদস্যকে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের কাছে হস্তান্তর করেন।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ভর্তিচ্ছু ওই পুলিশ সদস্য কারিগরি শিক্ষাবোর্ড থেকে ২০১৫ সালে এসএসসি ও ২০১৭ সালে একই বোর্ড থেকে এইচএসসি পাশ করেন।

তার জন্ম তারিখ ২০ ডিসেম্বর ১৯৯৭ সাল। সেই কাগজপত্র দিয়ে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য আবেদন করেন।

ভর্তি পরীক্ষায় ‘সি’ ইউনিটে তার রোল ০৪৬৫০। তিনি ২০০১ সালে এসএসসি ও ২০০৩ সালে এইচএসসি পাস করেন। সেই কাগজপত্র দিয়ে পুলিশে চাকরি নেন। ২০০৩ সালে এইচএসসি পাস করলেও নতুন কাগজপত্রে তার বয়স বর্তমানে ২০ বছর।

এদিকে, বয়স জালিয়াতির দায়ে অভিযুক্ত ওই পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কোন ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সচেতন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। একই অপরাধের দায়ে ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষে শহিদুল ইসলাম নামে বাংলা বিভাগের এক শিক্ষার্থীর সার্টিফিকেট বাতিল ও এক শিক্ষাবর্ষ বহিষ্কার করা হয়। কিন্তু পুলিশের এই এএসআই এর বিষয়ে কর্তৃপক্ষ গাঁ বাচাঁনোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন অনেকই।

এ বিষয়ে দায়িত্বরত সহকারী প্রক্টর নাসিমুজ্জামান জানান, ‘আমি সন্দেহজনক ভাবে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করি। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আমার কাছে অসঙ্গতি মনে হয়েছে। পরে আমি প্রক্টরের হাতে তাকে হস্তান্তর করি। এরপর জানতে পারি সে পুলিশের এএসআই।

ইবি থানার উপ-পরিদর্শক রতন শেখ জানান, ‘ইবি থানার আব্দালপুর পুলিশ ফাঁড়ির এক সদস্য কর্তৃপক্ষকে অবহিত না করে ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিতে যায়। সে জন্য তাকে কুষ্টিয়া পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে। ‘

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান বলেন, ‘তার আচার আচারণে অসঙ্গতি লক্ষ্য করে ওই ভবনে দায়িত্বরত শিক্ষক আমাকে অবগত করেন। আমি যাচাই-বাছাই করে দেখি সে পুলিশের সদস্য। আমি লিখিতভাবে পুলিশ সুপারের কাছে তাকে হস্তান্তর করি। ‘

খবর২৪ঘণ্টা.কম/জন

বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।